মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪৭ ভাগই পাহাড়। এসব পাহাড়ে বিন্না ঘাস লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে চসিকের।
তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় থাই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তারা গাড়ি ও হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামের পাহাড় দেখবেন। আগামী ২৮-৩১ মে থাইল্যান্ডের রাজ পরিবার বাংলাদেশে আসবেন, ৩০ মে তারা চট্টগ্রামে রাতযাপন করবেন। তখন রাজকন্যা বিন্না ঘাস প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এদিকে চসিকও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করবে।
তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে থাইল্যান্ড জেনেছ চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে প্রাণহানি হয়। তাই তারা বিন্না ঘাস লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছে। থাইল্যান্ডে এটি সফল হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন, কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি রেজাউল করিম প্রমুখ।
স্থপতি রেজাউল করিম বলেন, চট্টগ্রামের বড় অংশজুড়ে বালি পাহাড়। বেশিরভাগ পাহাড়ের মালিকানা সরকারি প্রতিষ্ঠানের। কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি মালিকানার পাহাড়ও রয়েছে। এসব পাহাড় থেকে প্রচুর সিলট্রেশন হচ্ছে। যা নালা খাল ভরাট হচ্ছে। সেখানে যদি বিন্না ঘাস লাগানো যায় তবে পাহাড়ধস, ভূমির ক্ষয়রোধ ও সিলট্রেশন বন্ধ করা সম্ভব।
মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, এ শহর আমাদের। ভূমিক্ষয়, পাহাড়ধস, জলাবদ্ধতা ঠেকাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পিএইচপি ফ্যামিলি থাইল্যান্ডের আগ্রহের কথা জানতে পেরে সিএসআরের অংশ হিসেবে লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এআর/টিসি