শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর টাইগারপাস এলাকার মামা-ভাগিনা মাজারের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা, একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ এবং ২ চাপাতি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মির্জা সায়েম মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, সেলিম একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের সদস্য। ব্যাগ টানা পার্টি নামে তারা পরিচিত।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডে এমইএস কলেজ মোড়ে কর্মসূত্রে চট্টগ্রামে বসবাসকারী ইংল্যান্ডের নাগরিক জুলিয়া ডেভিস ছিনতাইয়ের শিকার হন। বাবার সঙ্গে রিকশায় করে যাবার পথে অটোরিকশা থেকে তার ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। ব্যাগের মধ্যে একটি ক্যানন ক্যামেরা ও সানগ্লাস ছিল। জুলিয়া ডেভিস চট্টগ্রামের এশিয়ান উইম্যান্স ইউনিভার্সিটির রাইটিং সেন্টারের পরিচালক।
এই ঘটনায় খুলশী থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তভার পেয়ে অভিযানে নামে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানে ছিলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (দক্ষিণ) মো.ইলিয়াছ খানও।
ভোরে যেসব অটোরিকশা নগরীর ছিনতাইপ্রবণ স্পটগুলোতে ঘোরাঘুরি করে সেগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সেলিমসহ তিনজনকে আটকের তথ্য দিয়েছেন মির্জা সায়েম।
আটক বাকি দুজন হলেন, অটোরিকশা চালক হেদায়েতউল্লাহ সুজন এবং মনসুর।
মির্জা সায়েম বলেন, সুজন অটোরিকশা চালাচ্ছিল। সেলিম ব্যাগ টান দেয়। আগে-পিছে আরও ২টি অটোরিকশা ছিল। সেলিমদের গ্রেফতারের সময়ও ওই অটোরিকশা দুটি ছিল। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আরও ৭জন নিয়ে পালিয়ে গেছে।
জুলিয়া ডেভিসের ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
গত বছরের ১৮ জুলাই সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ রোডে অর্কিড হোটেলের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন চীনা নাগরিক। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ব্যাগে একটি ল্যাপটপ, ২ লাখ টাকা, ১ হাজার মার্কিন ডলার ও চীনের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল।
এই ঘটনার পর ২১ আগস্ট সিএমপির তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী সেলিমকে গ্রেফতার করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। সেলিম সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। থাকেন পাহাড়তলী থানার ফইল্যাতলী বাজারে।
সূত্রমতে, পেশাদার ছিনতাইকারী সেলিমকে ২০১১ সালের ২৩ জুন কোতয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পায়। পরদিন তাকে আবারও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর গ্রেফতার হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট।
বারবার গ্রেফতারের জামিনে বেরিয়ে সেলিম আবারও একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে বলে জানান মির্জা সায়েম মাহমুদ।
সেলিমের বিরুদ্ধে নগরীর কোতয়ালী, ডবলমুরিং ও খুলশী থানায় মোট ৭টি মামলা আছে। গ্রেফতারের পর ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মির্জা সায়েম।
অটোরিকশা চালাচ্ছিল সেলিম, ব্যাগ টান দেয় দিলীপ
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪,২০১৮
আরডিজি/টিসি