ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেলফি কনটেস্টও থাকছে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
সেলফি কনটেস্টও থাকছে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা

চট্টগ্রাম: নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে তিন দিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। তরুণদের জন্য থাকছে আইসিটি কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য ইনোভেথন, সিভি-ক্লিনিক, ড্রোন প্রদর্শনী, আমার চোখে ডিজিটাল বাংলাদেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর বাইরে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সেলফি কনটেস্ট।    

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আইসিটি বিশ্বে মানবসম্পদের ভূমিকা অনন্য। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ।

এ দেশের তরুণ সমাজ আমাদের উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। তাদের শ্রম, মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা আমাদের।
এ লক্ষ্যে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা। মেলাকে আকর্ষণীয় করতে সেলফি কনটেস্টের আয়োজন করা হয়েছে। যাদের সেলফিতে বেশি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার থাকবে তারা পুরস্কার পাবে।   

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে বেগবান ও জনগণের হাতের মুঠোয় পৌঁছাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক ছোঁয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নানা উদ্ভাবন। তথ্যপ্রযুক্তির বৈশ্বিক পরিবর্তনকে জনগণের কাছে আরও পরিচিত করতে, তাদের উদ্ভাবনী মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ করতে এবং রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল খাতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমসমূহ ও অর্জন এবং শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মকে সুদক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার প্রয়াসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করছে।

এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম সংলগ্ন মাঠে ‘ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১৮’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এসএম মনির-উজ-জামান, নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার ও পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা।

এবারের মেলায় ১২৫টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ৪৩টি, ব্যাংক ২৫টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৭টি, আইটি প্রতিষ্ঠান ১০টি, ফুড অ্যান্ড কফি কর্নার ১২টি, এনজিও এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ৮টি।

মেলায়  শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল সেন্টার ২টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২টি, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠান ২টি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন বাস্তবায়ন ১টি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ১টি, তরুণ উদ্ভাবক ৩টি ,স্টল ১টি , ই-সেবা প্রদানকারী দপ্তর ১টি , পোর্টালের দপ্তর (জেলা ১টি ও উপজেলা ১টি)সহ মোট ১৫টি পুরস্কার দেওয়া হবে।  

এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর গল্প বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার ১২টি এবং আমার চোখে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার ১২টি, আইসিটিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতার ১৫টি, ফ্রি কুপন ড্রয়ের ৯টি  ও সেলফি কনটেস্টের ৫টি পুরস্কারসহ ৬৮টি এবং অংশগ্রহণকারী সব স্টল, অতিথিদের শুভেচ্ছা পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হবে।

প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্নোগান নয়, বাস্তবতা। বাংলাদেশে মানুষ দোরগোড়ায় সহজে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছেন। ২০১১ সাল থেকে মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু হয়েছে। মানুষ এটিকে গ্রহণ করেছেন। প্রতিবছর এ মেলায় মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এবার ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামে মেলাটি হবে। আমি সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।