বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে সকাল আটটায় ভাষা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন এবং মাতৃভাষার জন্য প্রাণ বিসর্জনের মাধ্যমে বীর বাঙালি মায়ের ভাষার বিশ্বজনীন স্বীকৃতি অর্জন করেছে। একুশের চেতনা বিশ্বজনীন, অবারিত এবং একুশ আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সগৌরবে প্রতিষ্ঠিত। ’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘একটি ভাষা কেবল একটি জাতির পরিচয় বহন করে তা নয়। একটি ভাষা একটি জাতির অস্তিত্বও বহন করে। বিশ্বসভায় বাংলা ভাষা আজ স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন অত্যাবশ্যক। ’
স্বাগত বক্তব্য দেন চবি প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিহির কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুয়াজ্জম হোসেন, সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, আলাওল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এসএম সালামত উল্লাহ ভূঁইয়া, আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর এবিএম আবু নোমান, অফিসার সমিতির সভাপতি একেএম মাহফুজুল হক, চবি ক্লাবের (শহর) সদস্য প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী, কর্মচারী সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওমর ফারুক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জোস মোহাম্মদ প্রমুখ।
এর আগে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি বের হয়। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রভাতফেরি শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
জেইউ/টিসি