ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলা ভাষাকে ধারণ করে ইংরেজিকে অবলম্বন করা উচিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
বাংলা ভাষাকে ধারণ করে ইংরেজিকে অবলম্বন করা উচিত বক্তব্য দিচ্ছেন আ জ ম নাছির উদ্দিন, ছবি:সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বাংলাকে বিসর্জন দিয়ে ইংরেজিকে অবলম্বন করা মোটেই কাম্য নয় মন্তব্য করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাংলাকে ধারণ করে ইংরেজিকে অবলম্বন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে নয় দিনব্যাপী একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা অনেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে ইংরেজিকে অবলম্বন করতে চাচ্ছি।

বাংলাকে ধারণ করে ইংরেজিকে অবলম্বন করতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।
আগে বাংলাকে ধারণ করে, নিজেকে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়তে ইংরেজিকে ধারণ করাই বাঞ্চনীয়।

বইপড়া বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সিটি মেয়র আরও বলেন, বই মানুষের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। যতবেশি বইপড়া বাড়ানো যাবে, জ্ঞানের পরিধি ততবেশি বাড়বে। সুশিক্ষিত জাতি গড়তে বইপড়ার ভূমিকা অনেক। নতুন প্রজন্মের কাছে যদি বইপড়া বাড়ানো যায়, তাহলে তারা সকল ধরণের অনৈতিক, অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে। তাই আমাদের বইমেলার আয়োজন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি মানসম্পন্ন প্রকাশনী সংস্থাগুলোও প্রকাশনা বাড়াবেন। অন্যদিকে যারা কবি, সাহিত্যিক, লেখক, ছড়াকার যারা আছেন, তারাও মানসম্পন্ন লেখনির মাধ্যমে বই প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন।

তিনি বলেন, বই পড়ে নতুন প্রজন্ম অজানা বিষয়গুলো জানতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা মূল্যবোধ সম্পন্ন, দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবেন। আলোকিত দেশ ও সমাজ গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে বইপড়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। পাশাপাশি বইয়ের পাঠক সৃষ্টি করতে হবে। যাদের বইপড়ার ইচ্ছে আছে, তারা উম্মুক হয়ে থাকেন নতুন বইয়ের জন্য। আসুন নিজেদের বইপড়ার মানসিকতা তৈরি করি। পাশাপাশি পরিবারসহ সকলকে বইপড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করি।  

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে উপহার সামগ্রী দেয়া হয়, তা বাদ দিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী বই উপহার দেয়ার সংস্কৃতি চালু করার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান মেয়র।

‘তিমির হননে বই হোক জ্ঞানের আলোকবর্তিকা’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ও চিটাগাং খুলশী ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, বই মানুষের জ্ঞানের পরিধিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বইপড়া বাড়াতে হলে বইমেলার পরিধিও বাড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একুশে বইমেলার শেষ দিনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণীদের সম্মাননা দেওয়া হবে।  

একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফার্মিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আহমেদ রবিন ইস্পাহানীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধ‍া নঈম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সুনীল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চসিকের মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলুন উড়িয়ে নয়দিনব্যাপী একুশে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির ‌উদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।