মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মাহমুদুল চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. শাহে নূরের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
ঘুষ দাবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী খানের দায়ের করা একটি মামলায় সোমবার মাহমুদুল এবং এসআই মো.আশরাফুল ইসলামের আদালতে হাজিরের নির্দেশনা ছিল।
কিন্তু মাহমুদুল হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা ২০০৫ সালে নগরীর হালিশহর থানায় কর্মরত ছিলেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী খান এবং তার বন্ধুর প্রাইভেট কারের চালককে ঘুষের জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। কয়েকটি মামলা দিয়েও তাদের হয়রানি করা হয়।
২০০৭ সালের ১৩ জুন চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারী মামলা আমলে নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ওই বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।
দুদক আইনজীবী মেজবাহ জানান, আসামিরা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় গত ৮ বছর ধরে মামলাটি সচল ছিল না। ২০১৬ সালে আসামিদের রিট খারিজ হয়। এরপর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের হাজিরের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
আরডিজি/টিসি