মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নূর মোহাম্মদ রফিকের কফিন আনা হয় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা।
এতে অংশ নেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা সভাপতি নুরুল আলম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
কফিনে ফুল দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, কার্যনির্বাহী সদস্য নওশের আলী খান, আসিফ সিরাজ প্রমুখ।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নূর মোহাম্মদ রফিক হালিশহর আনন্দ বাজারে বোনের বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জোহর নামাজের পর হালিশহরের বাড়ির পাশের মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রবীণ সদস্য নূর মোহাম্মদ রফিক দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধকালীন ক্ষত এবং বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গোলার আঘাতে নূর মোহাম্মদ রফিকের বাম পায়ে মারাত্মক জখম হয়। বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে পাঠান। চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ হবার আগেই মাতৃভূমির টানে তিনি সদ্য স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন। পায়ের ক্ষত নিয়ে ৪৭ বছর ধরে কষ্টকর জীবনযাপন করে আসছিলেন। সম্প্রতি পায়ের ক্ষত ক্রমাগত বাড়তে থাকে।
নূর মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৪ সালে নগরীর হালিশহরে। তার বাবা আবদুন নবী খান, মা ফুলমেহের খাতুন। আশির দশকে দৈনিক আজাদীতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। এরপর দৈনিক পূর্বকোণ, ইত্তেফাক, নয়াবাংলাসহ বেশ কিছু দৈনিকে কাজ করেন। তার লেখা ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’, ‘চতুষ্পদে’ (কবিতা), ‘বত্রিশ লিমেরিক’, ‘ফান্দে পড়িয়া বগা’ (কৌতুক), ‘বিশ্ব মনুষ্য বসতি: আসন্ন সংকটকাল’ (প্রবন্ধ) উল্লেখযোগ্য।
ছড়াকার-সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ রফিক আর নেই
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এআর/টিসি