ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিজ ক্যাম্পাসে না গেলে ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
নিজ ক্যাম্পাসে না গেলে ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

চট্টগ্রাম: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ক্যাম্পাসে না গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চন্দনাইশ উপজেলার বিজিসি বিদ্যানগরের বঙ্গবন্ধু ফ্রিডম স্কয়ারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার পরিবেশ ও নির্ধারিত শর্তপূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে চলতে চান, যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে এখনো যাননি, যারা একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠদান চালাচ্ছেন; তাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত চাপ রেখেও সঠিক ধারায় আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া তারা আর কোনো পথ খোলা রাখেননি।

বিজিস্টি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষকে দেশের বাস্তবতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা রেখে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও টিউশন ফিসহ সব ধরনের ব্যয় নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে।

নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। যাতে জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বিষয় যাচাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।

দেশের উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে অনেক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়ে জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগতমান ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে আমরা সার্কভুক্ত সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। ইতিমধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা অর্জন করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ছাত্রীর হার ৫১ শতাংশ ও ছাত্রের হার ৪৯ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীর হার ৫৩ শতাংশ ও ছাত্রের হার ৪৭ শতাংশ। ’

তিন বছরের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ও ছয় বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা অর্জনে সক্ষম হওয়ার কথাও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

সমাবর্তনে বিজিজি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরোজ সিংহ হাজারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫টি ফ্যাকাল্টির ৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। এর মধ্যে ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ৪ হাজার ৮৪২ জন, ফ্যাকাল্টি অব আর্টসে ৩৩১ জন, ফ্যাকাল্টি অব কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২৩৩ জন, ফ্যাকাল্টি অব ল’তে ১ হাজার ৫৮৪ জন এবং ফ্যাকাল্টি অব সাইন্সে ৩৪৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সমাবর্তনে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।