ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খালেদা মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসককে বিএনপির স্মারকলিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
খালেদা মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসককে বিএনপির স্মারকলিপি জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা

চট্টগ্রাম: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে স্মারকলিপি দিয়েছে নগর বিএনিপ। রোববার দুপুরে বিএনপির একপি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসনের তাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

নগর বিএনপির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়ার সময় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুুুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ সভাপতি এম এ আজিজ, সাবেক কাউন্সিলর হাজী শামছুল আলম, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, মফিজুল হক ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন গণতন্ত্রের জন্য নিবেদিত।

তিনি সবসময় মানসিকতায় ভদ্র এবং উদার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছেন।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়াউর রহমানের অবদান অপরিসীম।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান এবং তাঁর ওপর সব ধরণের নির্যাতনমূলক কর্মকান্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাহবুুুুবের রহমান শামীম বলেন, সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে আদালতকে ব্যবহার করে বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে কারাগারে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এক অমানবিক আদিম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আবু সুফিয়ান বলেন, কথিত বিচারের নামে সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো সরকারের হীন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনারই অংশ। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে আগামী নিবার্চন পুনরায় একতরফাভাবে করতে একদলীয় দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করাই এদের মূল লক্ষ্য।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নগর বিএনপির সহ সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সাবেক কাউন্সিলর সামছুল আলম, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আজম উদ্দিন, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, মাহবুব আলম, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad