ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যক্ষ্মার জীবাণু শরীরে ঢুকলেই রোগ হয় না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
‘যক্ষ্মার জীবাণু শরীরে ঢুকলেই রোগ হয় না’ বক্তব্য দেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন কবির

চট্টগ্রাম: যক্ষ্মার জীবাণু শরীরে ঢুকলেই রোগ হয় না উল্লেখ করে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন কবির বলেছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম হলে যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, তাই বতমান সরকার যক্ষ্মা নির্মূলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বারডেম টিবি কেয়ার ও চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‍

ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে যক্ষ্মা নিয়ে আলোচনা করেন ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডা. নওশাদ আজগার চৌধুরী, চট্টগ্রাম টিবি ক্লিনিকের কনসালট্যান্ট ডা. কৃষ্ণ স্বরূপ দত্ত, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, কনসালটেন্ট ডা. মাসুদ করিম, ডা. শেখ শিরিন আফরোজ, ডা. রতন কান্তি সাহা, বাডাস ইউএসএইড চ্যালেঞ্জ টিবি প্রজেক্ট, প্রজেক্ট ওভারভিউ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলাম।

ডা. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, যক্ষ্মা বা টিবি একটি সংক্রামক রোগ। মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস জীবাণু এ রোগের জন্য দায়ী।

যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীরা খুব রোগা হয়ে পড়েন। যক্ষ্মা রোগে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস, যদিও হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশি ও থাইরয়েড গ্রন্থি ছাড়া শরীরের যেকোনো অঙ্গেই যক্ষ্মা হতে পারে। এমনকি কিডনি, মেরুদণ্ড অথবা মস্তিষ্ক পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারে। যক্ষ্মায় সংক্রমিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের সক্রিয় যক্ষ্মা হতে পারে।

ডা. কৃষ্ণ স্বরূপ দত্ত বলেন, বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে মিশে রোগের সংক্রমণ ঘটায়। যক্ষ্মা রোগীর প্লেট, গ্লাস এমনকি বিছানা আলাদা করে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। রোগী যদি পূর্ণমাত্রায় চিকিৎসা নেয় তাহলে আর কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, একসময়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি বাক্য ছিল ‘যার হয় যক্ষ্মা তার নাই রক্ষা। ’ যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তি ছিল সমাজে চরম অবহেলিত। রোগের জটিলতা এবং সামাজিক অবহেলা এ দুইয়ে মিলে আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে মারা যেত। সুনির্দিষ্টভাবে এ রোগের কারণ জানা না থাকায় চিকিৎসা করা সম্ভব হতো না। কিন্তু বর্তমানে এ রোগের জীবাণু আবিষ্কার হয়েছে। এখন এ রোগের আধুনিক চিকিৎসা আছে। সঠিক মাত্রায়, নিয়মিত এবং পূর্ণমেয়াদের চিকিৎসায় যক্ষ্মা রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।