রোববার সকালে (১৮ ফেব্রুয়ারি) চিটাগাং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কাপ্তাই হ্রদে মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা কৌশল’ শীর্ষক উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হোক অথবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হোক অথবা পৃথক কোনো প্রকল্প নিয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হোক কাপ্তাই হ্রদ খননের একটা ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখব।
মন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই হ্রদের সীমানা নির্ধারণ এবং এটা সংরক্ষণ করা দরকার। এসব বিষয়ে আমরা সঠিক পদক্ষেপ নেব।
তিনি বলেন, মাছের উৎপাদন যদি কম হয় সেটার কারণ নির্ণয় করতে হবে। মাছের প্রাকৃতিক খাবার ঠিক আছে কিনা-না থাকলে কেন নেই। সেখানে কোন প্রজাতির মাছের চাষ করা যেতে পারে এগুলো গবেষণার মাধ্যমে বের করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যসম্পদের উন্নয়নের জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। কাপ্তাই হ্রদের গভীরতা বৃদ্ধি, অবৈধ দখলদারমুক্ত করা এবং অবৈধ মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন হবে এবং এটি দেশের জন্য একটি সম্পদে পরিণত হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল বলেন, আমাদের সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করে যাচ্ছি। মৎস্যসম্পদের উন্নয়নেও আমরা অগ্রগতি সাধন করেছি। গবেষণার মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরও ভালো করার সুযোগ আছে।
কর্মশালায় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এবং ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর এম নুরুল আবছার খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এআর/টিসি
