মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। চিরকুমার সাবেক এই এমপি দুই ভাই ও দুই বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফের ছোট ভাই মোহাম্মদ সেকান্দর বাংলানিউজকে জানান, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বড় ভাই ইন্তেকাল করেছেন। তবে তাকে চট্টগ্রাম নেওয়া এবং জানাজার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে পুলিশ প্রহরায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
একসময়ের তুখোড় বামপন্থী নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি সিপিবি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক হলেও মোহাম্মদ ইউসুফের অর্থবিত্ত নেই। বিয়েও করেননি। বার্ধক্যে পৌঁছা মানুষটি নানা রোগে ভুগলেও অর্থাভাবে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দলের সাবেক একজন সংসদ সদস্য টাকার অভাবে চিকিৎসা না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে।
পরে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোববার (০৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন রাঙ্গুনিয়ায় মোহাম্মদ ইউসুফের গ্রামের বাড়িতে যান। তাকে এনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করেন। ৯ জানুয়ারি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমইউ/টিসি