ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইতিহাস ছুঁয়ে নতুনভাবে সাজবে লালদীঘি

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
ইতিহাস ছুঁয়ে নতুনভাবে সাজবে লালদীঘি প্রস্তাবিত নকশা

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলন-সংগ্রামের পীঠস্থান চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দান।  চট্টগ্রামের রাজনীতির ইতিহাস মানেই লালদীঘি মাঠ। পাকিস্তান আমল থেকে সকল সংগ্রামে চট্টগ্রামের মানুষ লালদীঘির মাঠকেই ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

রাজনীতির এই পীঠস্থানকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে ইতিহাসের ‍পাতায় অক্ষয় করে রাখার জন্য নেয়া হচ্ছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা।   এর মধ্যে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঘোষিত ৬ দফার ইতিহাস দেয়াল লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা।

  পাশাপাশি থাকবে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও পূর্বাপর রাজনৈতিক ঘটনাবলী।

অগ্নিযুগের বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত একটি লাইট হাউজ নির্মাণের বিষয়ও পরিকল্পনায় আছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী এই পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রকৌশলীদের মাধ্যমে নকশা তৈরি করেছেন।   অর্থায়নের জন্য জেলা পরিষদকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।  গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছেও নকশা হস্তান্তর করে অর্থায়নে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম বাংলানিউজকে বলেন, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী আমাকে প্রস্তাব দিয়েছেন।   প্রকল্পগুলো নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি।  তবে লালদীঘির মাঠটির মালিকানা মুসলিম হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের।  এসব স্থাপনা করতে হলে স্কুল এবং সিটি করপোশেনের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে।

প্রস্তাবিত নকশা 

স্কুল এবং সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদনের বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন জহরলাল হাজারী।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী লালদীঘি এলাকাকে নান্দনিকভাবে সাজানোর ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের মানুষের দ্বিমত নেই।   বাইরে থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মেয়র মহোদয় সম্মতি দিয়েছেন। আশা করি অনুমোদন এখানে কোনো বাধা হবে না।   আমি জেলা পরিষদকে এগিয়ে আসার সবিনয় অনুরোধ করছি।  

দুই প্রকল্পে অর্থায়নের আবেদন করে চলতি মাসে জেলা পরিষদে নকশা জমা দেওয়া হয়েছে।  

জেলা পরিষদের সচিব শাব্বির ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, লালদীঘির মাঠের দেয়ালে লিখন, লালদীঘি থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত ডিভাইডার নির্মাণ, মাঠের একপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কথা বলা হয়েছে একটি প্রকল্পে।  লালদীঘি চৌরাস্তার মোড়ে মাস্টারদা সূর্যসেনের নামে একটি টাওয়ার স্থাপনের আবেদনও এসেছে। আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় ইতিবাচকভাবে এসব প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad