ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে ভুল বুঝবেন না: নাছির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে ভুল বুঝবেন না: নাছির চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালগুলোর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা

চট্টগ্রাম: মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) মাধ্যমে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এ নিয়ে জনগণ আমাকে ভুল বুঝুক তা আমি চাই না।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালগুলোর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে চউকের সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রয়োজন। যাতে করে এ কার্যক্রমে কোনো ওভারলেপিং না হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক খালগুলোর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সভার আলোচ্য বিষয় ছিল মহানগরীর প্রাকৃতিক খালগুলো থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, এর দুপাশে বেদখলী সরকারি জায়গা উদ্ধার, খালগুলো থেকে মাটি উত্তোলন, খাল খনন ও ভরাট হওয়া খালের মাটি-আবর্জনা নিষ্কাশন করে খালে স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত রাখা, অবৈধ দখলদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উচ্ছেদ করা জায়গায় পুনরায় যাতে অবৈধ স্থাপনা নির্মিত না হয় সে জন্য নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা ও এর পাশে উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ।

অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, এএইচএম সোহেল, নাজমুল হক ডিউক, ইসমাইল বালী, চসিকের সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান, বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সচিব ও বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা, চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) শ্যামল কুমার নাথ, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এসএসও নিউটন দাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা খন্দকার মো. তাহাজ্জুত আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম নগরী পাহাড়ি এলাকায়। এ এলাকার ৪৭ শতাংশ পাহাড় বালি মাটির। তাই বৃষ্টি হলে পাহাড়ি বালি বৃষ্টি পানির সঙ্গে ধুয়ে নালা-নর্দমা ও খাল ভরাট হয়ে জলজটের সৃষ্টি করে।

তিনি সিলট্রেশন বন্ধ করা না গেলে এ সমস্যার সমাধান টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে মূল কাজ যেহেতু সিডিএ বাস্তবায়ন করবে, সেহেতু খালের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের ক্ষেত্রে কিছু আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও চউক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা গেলে এ কার্যক্রমের সুফল মিলবে বলে আশা  করা যায়।

তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগে খালের মাটি উত্তোলন, অবৈধ দখল উচ্ছেদে সিডিএর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা তা সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদের কাছে জানতে চান।

অপচনশীল বর্জ্য জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, এ ধরনের বর্জ্য ভাটার সময় নদীর তলাতে আটকে থাকে।

তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেটের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা সংকটের নিরসন প্রকল্প নিয়েও দ্বিমত পোষণ করেন।

ইশরাত রেজা বলেন, নগরীর ১৬টি খালের পাড়ে রেলের জায়গা রয়েছে তাতে যদি অবৈধ স্থাপনা থাকে তা আমরা উচ্ছেদ করব।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, সিডিএর প্রকল্পের সঙ্গে আমাদের গৃহীত অনেক প্রকল্পের ওভারলেপিং আছে যা   আমরা সংশোধন করব।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।