বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আন্দরকিল্লার নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে সম্পর্ক।
‘আমি উনাকে অনুরোধ করেছি চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করার জন্য, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য। উনি চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করবেন বলেছেন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে প্রকল্প নিয়েছেন। সেগুলো বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা চাইছেন। আমরা চট্টগ্রামের স্বার্থে সেই প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা করব বলে আশ্বস্ত করেছি। ’
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান বলেন, ব্যক্তিগতভাবে মেয়র হওয়ার আগে থেকে আমাদের সম্পর্ক ছিল। আপনারা জানেন সীতাকুণ্ডের দিকে আমরা দুটি প্রকল্প নিয়েছি।
চট্টগ্রামে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি বলেন, আপাতত প্রতিবন্ধকতা একটিই দেখছি, যানজট। মাস চারেক আগে আমি একটি অনুষ্ঠানে আসি। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে আসতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা লেগে যায়। একটা দেশের উন্নয়নে সবার আগে দরকার কমিউনিকেশন। চার ঘণ্টা রাস্তায় লেগে গেলে কোনো ব্যবসায়ী এগোতে পারবেন না। আমি মেয়রকে অনুরোধ করেছি রাস্তাঘাট ঠিক করেন। রাস্তার ওপর অনেক দোকান। কিছুটা সমন্বয় করা গেলে সড়ক প্রশস্ত করা যায়। ডায়নামিক মেয়র থাকতে আমাদের ভরসা আছে। উনি পারবেন।
প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, বসুন্ধরা চট্টগ্রামে অয়েল রিফাইনারি, পেট্রো কেমিক্যাল প্লান্ট এবং বড় আকারে টার্মিনালের চিন্তা করছে। যে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তাতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এখানে বাংলাদেশের বড় প্রকল্পগুলো হচ্ছে। তাই মেয়র সাহেবকে আমরা অনুরোধ করেছি শুধু সিটি করপোরেশন না, এর বাইরে এক্সট্রা অর্ডিনারি ফোকাস চাই। আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। দেশে অনেক প্রকল্প হয়েছে।
`সাকসেসফুল কয়টা হয়েছে দেখতে হবে। আমি কিন্তু অনেক কারখানা দেখেছি শুরু হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের ওপর আল্লাহর রহমতে দোয়া আছে। আমরা যা করেছি ভালোভাবে করেছি। দেশ ও মানুষ যাতে লাভবান হয় সেভাবে করতে হবে, তা ছাড়া করার দরকার নাই। সবার বেনিফিট যেটাতে হবে সেটা করতে হবে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এআর/টিসি