পণ্য খালাস নিতে বন্দর ইয়ার্ডে ট্রাকও আনা হয়। কিন্তু খালাস পর্যায়ে কন্টেইনার খুলে দেখা যায় সেখানে সারি সারি বালির বস্তা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চীন থেকে চার কনটেইনারে করে এই প্লাস্টিক দানা আমদানি করা হয়। এসব কনটেইনারে ২ হাজার ৭২০ টি ব্যাগে ৬৮ হাজার কেজি প্লাস্টিক দানা থাকার কথা ছিল। পণ্যের দাম ৭০ হাজার ৩৮০ ডলার। পণ্য খালাস নেওয়ার জন্য আমদানিকারক কাস্টম হাউসে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা শুল্ককরও পরিশােধ করে।
কাস্টমস’র উপকমিশনার শাকিল খন্দকার জানান, চার কনটেইনার খুলে প্লাস্টিক দানার কোন বস্তা পাওয়া যায়নি। এতে দুই হাজার ২০ বস্তা বালু জাতীয় পদার্থ পাওয়া গেছে। এই পণ্য এখন গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গ্রিন ইন্টারন্যাশনালের মালিক এ বি এম ফজলে শাহী বাংলানিউজকে বলেন, রপ্তানিকারকই আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কারণ মুদ্রাপাচারের মনোভাব থাকলে পণ্যের দামের এক তৃতীয়াংশ শুল্ক-কর পরিশোধ করে তারা পণ্য খালাস নিতে যেতেন না। এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে যে টাকা চীনের ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে তা ফেরত আনার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
চীনা দূতাবাসের মাধ্যমে আমদানিকারক টাকা ফেরত নিতে প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলেও জানান ফজলে শাহী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমইউ/টিসি