নগরীর কোতোয়ালী, খুলশী ও ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানায় এ তিনটি মামলা করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, পরীক্ষা শুরুর আগে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পাশে একটি বাসে স্মার্টফোনে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেখার দায়ে আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষক ও ৯ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া নয়টার দিকে শ্যামলী বাসে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে এসএসসির পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে এক শিক্ষকসহ নয়জন পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
মানবিক দিক বিবেচনায় বাসে থাকা আইডিয়াল স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ২৪ জনকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও পরীক্ষা শেষে সবাইকে বহিস্কার করা হয়।
অন্যদিকে, একইভাবে পুলিশ লাইন্স ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের দায়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার এসআই হেলাল উদ্দিন।
খুলশী থানার মামলায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই বোন সেরাজুম মুনিরা (১৬) ও ছেশমা শাহী (১৬) এবং তাদের বাবা আবু বকর মোহাম্মদ এমরানকে আসামি করে হয়েছে।
পুলিশ লাইন্স ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষা শুরুর আগে মামলার আসামী আবু বকর মোহাম্মদ এমরান নামে ওই অভিভাবক স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে উত্তর মেলাচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা অভিভাবকেরাও জটলা বেঁধে ওই প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেখছিলেন। পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের এক স্টাফ খবর পেয়ে ওই অভিভাবককে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় স্মার্টফোনটি ফেলেই পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে প্রশ্নফাঁসের দায়ে এসএসসি পরীক্ষা থেকে দুইবোনকে বহিষ্কার করা হয়।
একইভাবে প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে ফটিকছড়ি উপজেলার হেঁয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের আশপাশ থেকে আটক ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্র সচিব। আটক সকলেই ফটিকছড়ি উপজেলার গজারিয়া জেবুন্নেসা পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাগানবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও চিকনছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসবি/টিসি