অবসরের সময়, সেটি তাদের কাছে দিবাস্বপ্ন! তবে এই দিবাস্বপ্ন তাদের মাঝেমধ্যে সত্যি হয়। যেমন সত্যি হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির প্রথম পুনর্মিলনের (১২ ফেব্রুয়ারি)।
যেমন হামিদ উল্লাহ, এহসান জুয়েল, উত্তম সেনগুপ্ত, ইব্রাহিম কুতুবী, নাজিম উদ্দিন, ওমর ফারুক, সুজন ঘোষ, অাব্দুল্লাহ অাল মামুন, ইফতেখার ফয়সাল, তাসনিম হাসান, হুমায়ন মাসুদ, ফারুক অাব্দুল্লাহ, ফরহান অভিসহ অারও অনেকে।
বর্তমান সমিতির সভাপতি অাশহাবুর রহমান শোয়েবতো এখন শহরের ‘বড়' সাংবাদিক! এদিন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আশহাবুর রহমান সোয়েবের সভাপতিত্বে ও সমিতির সাবেক সদস্য ইফতেখার ফয়সালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি এতো সুন্দর হবে সেটি কেউ ভেবেও দেখেননি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, 'প্রথম পুনর্মিলন অায়োজন করতে গিয়ে অনেক ভয় লেগেছিল। অনুষ্ঠানটি সুন্দর করে শেষ হবে কীনা, সেটি নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম। ইফতেখার ফয়সাল ভাইয়ের অসাধারণ সঞ্চালনায় অারও সার্থক হলো অনুষ্ঠানটি।
আলোচনা সভার আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটার পাশাপাশি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এর অাগে তো তাসনিম হাসানের পারফরমেন্স সবার নজর কাড়ে। 'বুড়ো' সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন ও ওমর ফারুকের সেলফি তোলার সময় তিনি হাজির। তাদেরকে বললেন, অামিও উঠাব। নাজিম উদ্দিনতো বলেই ফেললেন, কীরে তাসনিম, বুড়ো দলে তুমি কেনো? তারপর তাসনিম হাসানের হাসি।
বিকেলে সাবেক সদস্যদের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা নাচে-গানে মেতে উঠেন। ইফতেখার ফয়সাল অনুষ্ঠানে গাইলেন, 'মিলন হবে' গানটি। গান করার সময় অাব্দুল্লাহ অাল মামুন, সুজন ঘোষ এটি নিয়ে রসিকতাও করলেন। রসিকতা করবেন বা কেনো, তারা তিনজনই ক্যাম্পাস কাঁপিয়েছেন নিত্য নতুন অনুসন্ধানীমূলক সংবাদ দিয়ে। ছিলেন, সহপাঠীও।
অনুষ্ঠানে অনেকে অাবেগে অাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন সবাইকে একসঙ্গে দেখে। তাইতো সমিতির সাবেক সভাপতি ও সময় টিভির অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর এহসান জুয়েল বক্তব্যে প্রতিবছর এ ধরনের অনুষ্ঠান অায়োজনের অনুরোধ জানান। পাখিদের মতো হয়তো দিনশেষে একত্রিত হওয়া যাবে না। তবে প্রতিবছর এ রকম অনুষ্ঠানে মিলিত হওয়ার প্রেরণা কে না চায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
জেইউ/টিসি