ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে পিকেএসএফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে পিকেএসএফ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে পিকেএসএফ

চট্টগ্রাম: পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ  ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, পিকেএসএফ এর যে কার্যক্রম তা অতি দরিদ্র মানুষকে ঠেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু যে অর্থনেতিক মুক্তির কথা বলেছিলেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

পিকেএসএফ এর সহায়তায় ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আইডিএফ পরিচালনায় রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক মুখ্য সচিব ও পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুসলিম চৌধুরী।

এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পিকেএসএফ’র উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. জসীম উদ্দিন।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, শিল্পপতি জাহাঙ্গীর আলম খান, কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী ও পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

‘বাদ যাবে না কেউ’ এই মর্মবাণী ধারণ করে পিকেএসএফ ও সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মীরা গর্ভধারণ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে দরিদ্র মানুষকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও অন্যান্য সেবা প্রদানে কাজ করছে। ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নভিত্তিক জনসাধারণকে ২২ ধরণের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ আরও বলেন, ‘কদলপুর ইউনিয়নকে আমাদের কর্মসূচির আওতায় আনার পেছনে অবদান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুসলিম চৌধুরীর। তিনি আমাদের কার্যক্রম খুব সহজে উপলব্দি করতে পেরেছে। অর্থ সচিব আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়, সারাদেশের মাঠ পর্যায়ে আমাদের কাজ করতে সহজ হবে। ’

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মুখ্য সচিব ও পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম বলেন, ১৯৯০ সালে পিকেএসএফ এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে পিকেএসএফ শুধুমাত্র ক্ষদ্র ঋণ দিতো। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান (ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ) প্রদত্ত ধ্যান-ধারণা ও মৌলিক কাঠামোর ভিত্তিতে ২০১০ সাল থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র পরিবারসমূহকে চিহ্নিত করে তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুসলিম চৌধুরী বলেন, এক বছর ধরে সরকার পিকেএসএফ’কে ফান্ড দেওয়ার কথা ভাবছে। আমি মনে করি সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য পিকিএসএফ ফান্ড পেতে পারে। তাদের ২৫০ কোটি টাকার ফান্ড দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। কারণ তাদের কাজে স্বচ্ছতা আছে। গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে সরকার ও তাদের কাজ প্রায় একই, তবে পদ্ধতি ভিন্ন। সরকারের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে গ্রামভিত্তিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়, পিকিএসএফ এর ক্ষেত্রে তারা প্রথমে মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা চালায়। তারপর কি প্রয়োজন তা বিবেচনা করে সেবা কার্যক্রম হাতে নেয়। আমি আশা করছি বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন পিকেএসএফ তা বাস্তবায়ন করতে পারবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।