এদিকে নগর বিএনপির নেতারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নির্দেশনা দেওয়ার কথা বললেও তৃণমূল নেতারা বলছেন তারা এখনো (বুধবার) কোন নির্দেশনা পাননি। অন্যদিকে গত কয়েক দিনে নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে নগর বিএনপির সভাপতি জানিয়েছেন নগরীর ৬ থেকে ৭টি পয়েন্টে অবস্থান নেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণকে জিম্মি করে বিএনপি কখনো রাজনীতি করেনি এখনো করতে চায় না। আমাদের নেত্রী আজও নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের।
ছাত্রলীগ-যুবলীগ লাঠি নিয়ে মিছিল করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের বাসায় হামলা চালিয়েছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে না। এটা উদ্বেগের বিষয়।
নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, নেতা-কর্মীরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছে। রায়কে ঘিরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করবে।
এদিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে বিএনপি নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নগর বিএনিপর সভাপতি ডা.শাহাদাত বলেন, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের নামে মামলা দিচ্ছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানা ও ওয়ার্ডের অন্য নেতাদেরও মামলায় আসামি করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বৃহস্পতিবার নাশকতার আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীতে চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বুধবার নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার এক আদেশে চট্টগ্রাম মহানগরীতে যে কোন অবাঞ্চিত ব্যক্তির প্রবেশ, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক দ্রব্য, তলোয়ার, বর্শা, বন্দুক, ছোরা বা লাঠি বহন, ইট পাথর বা নিক্ষেপযোগ্য কোন কিছু বহন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়াত্ত তিনটি তেল স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নগরীর পতেঙ্গা থানার সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়কে সাধারণ যান চলাচল বুধবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর পুলিশ। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
এদিকে নগর বিএনপির একটি অংশ বলছে, বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সাজা হলেও জোরালো আন্দোলন করতে পারবে না বিএনপি। কারণ হিসেবে তারা বলছে, শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে সঠিক নির্দেশনা না পাওয়া, কয়েক দিন আগে থেকে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও বাসায় তল্লাশির কারণে এলাকা ছেড়ে গেছেন অনেকে। এছাড়া নগর বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাও আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে ভীতি কাজ করছে তাদের মধ্যে। এই অবস্থায় আন্দোলন জোরদার হবে না বলে অভিমত অনেকের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমইউ/টিসি