চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এই রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন, জামাল উদ্দিন, আলমগীর, মো.লোকমান ও মো.জামাল উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৮ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবুল কান্তি ধর প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় যাবার পথে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে আক্রমণ করে।
সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে নিজেকে ছাড়িয়ে বাঁচার জন্য বাবুল লাফ দেন পাশের একটি পুকুরে। চিৎকার-চেঁচামেচি এবং গুলির শব্দ শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বি কে বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সন্ত্রাসীরা বাবুল ধরের কাছে চাঁদা চেয়েছিল। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা বাবুলকে খুন করতে এসেছিল। বাবুলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ছেলে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারান।
ঘটনার পরদিন বাবুল বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত করে ২০০৬ সালের ২৫মে চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ ১৫ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
আরডিজি/টিসি