তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম ওয়াসার গৃহীত মাস্টারপ্ল্যানের ভিত্তিতে নগরীতে খালগুলো থেকে মাটি ও আবর্জনা উত্তোলনের লক্ষ্যে চসিকের প্রকৌশলীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাগরিক দায়বদ্ধতা থেকে চসিকের ইক্যুইপমেন্ট, জনবল ও কারিগরি সহযোগিতায় মাটি উত্তোলন ও অপসারণ করা হচ্ছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) চসিকের ৩০তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে চসিকের সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন সভাটি সঞ্চালনা করেন।
মেয়র বলেন, জাইকা দ্বিতীয় ধাপে ১৯টি প্রকল্পের অধীনে ৪৩৪ কোটি টাকার সহযোগিতা দিচ্ছে। যার ফলে অনেক উন্নয়নকাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
সরকারের প্রকল্প সহযোগিতার জন্য সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্প সহযোগিতার পেছনে চসিককে ২০-৩০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড সরবরাহ করতে হয়। প্রতি মাসে ২০-২২ কোটি টাকা প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করতে হয়। অথচ সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে পৌরকর বাবদ মাত্র ৩৫-৪০ কোটি টাকা আদায় হয়। এটি বাড়ানো না গেলে নাগরিকসেবা পরিচালনা কষ্টকর হবে।
তিনি কর খেলাপিদের কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে কাউন্সিলরদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমানে নগরীর পরিবেশ অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় উন্নত এবং বাসোপযোগী। চসিক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ফুটপাত নির্মাণ, নালার উন্নয়ন ও সংস্কার, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, এলইডি লাইটিং এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় ২৯তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন, স্থায়ী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন, মাদক ও জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক কার্যক্রম জোরদার, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সমাবেশের আয়োজন, কাইজেন কার্যক্রম বাস্তবায়ন, দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, নগরীর বাজারের দোকানগুলোতে মূল্যতালিকা টাঙানোর ব্যবস্থা, ওয়ার্ড পর্যায়ে পরিত্যক্ত জায়গায় উদ্যান স্থাপন, চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা নিশ্চিত, ওয়ার্ডভিত্তিক কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত, বিএমডিএফ প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় ফিরিঙ্গিবাজার হোমিওপ্যাথিক কলেজ স্থানান্তর, রাস্তার মেরামতকাজ আরও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এআর/টিসি