রোববার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম একিউএম নাসির উদ্দিন এই আদেশ দিয়েছেন।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সোলায়মান এজাহারবুক্ত দুই নম্বর আসামি।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ভোরে নগরীর বাকলিয়ার রাজাখালী এলাকায় রমজান নামে এক সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হন নগরীর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক (২৭)।
এই ঘটনায় মানিকের ছোট ভাই জাহেদুল হক আরজু বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যাতে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন, গুলিবর্ষণকারী রমজান, মো.সোলায়মান, তাজুল ইসলাম এবং ঈছা খাঁন।
১০ ডিসেম্বর রাতে নগরীর চান্দগাঁও খাজা রোড থেকে রমজানকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। আদালতে রমজানের দেওয়া জবানবন্দিতে সোলায়মানের নির্দেশের কথা উল্লেখ আছে।
রমজানকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকলিয়ার ওসি প্রণব চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রমজান দীর্ঘদিন ধরে অর্থসংকটে ভুগছিলেন। চাকুরির জন্য বালু ব্যবসায়ী সোলায়মানের কাছে গিয়েছিলেন। সোলায়মান সুযোগ পেয়ে তার হাতে অস্ত্র দিয়ে মানিককে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন। এমনকি কিভাবে গুলি করা হবে, সেটিও শিখিয়ে দেন।
ওসি জানিয়েছিলেন, সোলায়মানের পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে। মানিককে পথের কাঁটা ভেবে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
'ভাড়ায় গিয়ে' ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে সন্ত্রাসী রমজান
জনপ্রতিনিধি হওয়ার আশায় ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
আরডিজি/টিসি