তদন্তের সত্যতা পেলেই এসব স্কুলের পাঠদান বাতিলের সুপারিশ করবে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে কৌশলে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে বদলি হয়ে ফরমপূরণ করেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
এবার টিসি জালিয়াতিতে নগরীর বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, হালিশহর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কামাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, হাসনাহেনা উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২০টিরও বেশি স্কুল রয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় টিসি জালিয়াতি করে ১৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। পরবর্তীতে টিসি জালিয়াতির বিষয়টি ধরে ফেলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। এসময় তদন্তের ভিত্তিতে এসএসসির ১০ পরীক্ষার্থীর ফল বাতিল এবং ৬ পরীক্ষার্থীর ফল স্থগিত করা হয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান বাংলানিউজকে জানান, ফরম পূরণের সময় আবার টিসি জালিয়াতি করে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে শিক্ষাবোর্ডের একটি তদন্ত কমিটি। অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থী ও স্কুল প্রধানদের ডাকা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
অভিযোগের সত্যতা পেলেই ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করা হবে জানিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহেদা ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বেশ কিছু স্কুলের বিরুদ্ধে টিসি জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিসি জালিয়াতি করে তারা এসএসসির ফরমপূরণ করেছে। বেশ কিছু স্কুলের প্রধানশিক্ষক, কর্মচারী নিয়ে একটি চক্র এসব জালিয়াতি করছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই ওই জালিয়াতির সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) ওইসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বাতিলের সুপারিশ করা হবে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
এসবি/টিসি