জনসমাজে প্রবর্তিত মাইজভাণ্ডার ত্বরীকার প্রবর্তনকারী আধ্যাত্মিক এই মহাপুরুষের ১১২ তম ওরশ আগামী ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার, ১০ মাঘ)।
হযরত মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারীর (মজিআ) আয়োজন, ব্যবস্থাপনা এবং নায়েবে সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেমে দরবার সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর (ম.) সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতি বারের মত এবারও ওরশ শরীফ গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত হবে।
ওরশ পরিচালনা কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রতিবছর বাংলা ৮, ৯ ও ১০ মাঘ, ইংরেরি ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি পবিত্র ওরশ শরীফ পালন করা হয়।
প্রতি বছর মানব জাতির এই মহামিলন কেন্দ্রে বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, ভূটান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, ওমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ গ্রহণ করে।
ওরশে আগত লাখো আশেক, ভক্ত, মুরিদান, জায়েরীনদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃংখলা রক্ষায় ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, আনসার এবং মাইজভাণ্ডার ওরশ শরীফ সুপারভিশন কমিটির বিপুল সংখ্যাক স্বেচ্ছাসেবক ও মাইজভাণ্ডার স্পেশাল ফোর্স সার্বিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
প্রয়োজনীয় গাড়ি পার্কিং, মেহমানদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে থাকা, সময় মত জামাত সহকারে নামাজ আদায় করা, বিশুদ্ধ পানীয় জল, স্বাস্থ্য সম্মত সেনিটেশন, আলোক সজ্জা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থা করা হয়।
ওরশ শরীফকে ঘিরে বিগত দুই মাস ধরে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারীর যাবতীয় সংগঠন ওরশ শরীফের অংশ হিসেবে সাংগঠনিকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করে আসছে।
এরমধ্যে রয়েছে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ, ফ্রি খৎতা ও চিকিৎসা ক্যাম্প, রক্ত দান, ব্লাড গ্রুপিং, বৃক্ষ রোপন ও বিতরণ, গাউছুল আজম মাইজভা-ারী মেধা বৃত্তি ও মেধা বিকাশ কার্যক্রম, বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণ, লিফলেট ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়।
শেষ দিবস (১০ মাঘ/ ২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টটা ১ মিনিটে গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিল শাহী ময়দানে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন সাজ্জাদানশীনে দরবারে গাউছুল আজম হযরত মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (মজিআ)।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এমইউ/টিসি