এ আলোর সন্ধান মিলবে বই পড়ার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে বক্তারা জানালেন সেই কথা।
নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দু’দিনেরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিত, গ্রামীণফোনের হেড অব ডিস্ট্রিবিউশন প্লানিং অ্যান্ড সাপোর্ট কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, ছড়াকার অরুন শীল, চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক ও সহযোগী অধ্যাপক আলেক্স আলীম উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরা কেবল সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত মানুষ হবে না। বই পড়ার মাধ্যমে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। এজন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ব্রিটিশরা যেভাবে বাঙালীদের চা খেতে শিখিয়েছিল, আমরাও সেভাবে সবার হাতে বই তুলে দিতে চাই। তোমরা বেশি বেশি করে বই পড়, আলোকিত হও। তোমরা আলোকিত হলে বাংলাদেশ আলোকিত হবে।
শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম বিশ্বব্যাংকের কথা উল্লেখ করে বলেন, বইপড়া কর্মসূচিকে বিশ্বব্যাংক সারা পৃথিবীতে একটি অনন্য কর্মসূচি বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব ডিস্ট্রিবিউশন প্লানিং অ্যান্ড সাপোর্ট কফিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সাথে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে ভবিষ্যতেও পাশে থাকবো।
অধ্যাপক আলেক্স আলীম স্বাগত বক্তব্যে বছরজুড়ে বইপড়া কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগরীতে দুই দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণী উৎসবের তিনটি পর্বে ৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৬ হাজার ৩৯২ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার দেওয়া হয়। শুক্রবার দিনব্যাপী পুরস্কার বিতরণী উৎসবের দুই পর্বে মোট ৬৪টি স্কুলের ৪ হাজার ৩১৩ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
এমইউ/টিসি