শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়া থানা থেকে আনুমানিক দেড়শ গজ দূরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে হত্যকাণ্ডের পর এলাকাবাসী পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে ব্যারিকেড দিয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নেয়ামতউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, যিনি খুন হয়েছেন তাদের বাড়ির পাশেই একটি কমিউনিটি সেন্টার আছে।
এছাড়া লোহার রড দিয়ে পেটানোর বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি নেয়ামত।
সূত্রমতে, পটিয়া পৌরসভায় ভূমি অফিসের সামনে গাজী কনভেনশন সেন্টার নামে কমিউনিটি সেন্টার এবং চারতলা আবাসিক ভবনটি পাশাপাশি। গাজী কনভেনশন সেন্টারের মালিক প্রবাসী গাজী মো.আসলাম। তার ভাই পটিয়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী মো.আবু তাহের কমিউনিটি সেন্টারের দেখভাল করেন।
আর চারতলা ভবনের মালিক প্রবাসী নূরুল আলম। কমিউনিটি সেন্টারের সীমানা প্রাচীর ওই ভবনের দুই ফুট জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল।
চারদিন আগে সেই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় গাজী আসলামের আরেক ভাই গাজী গিয়াস বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৭টা থেকে কমিউনিটি সেন্টারে শত শত তরুণ-যুবকের জমায়েত হয়। তাদের উপস্থিতিতে কমিউনিটি সেন্টারের মালিকপক্ষ সেখানে সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এসময় নূরুল আলমের স্ত্রী জয়নাব বেগম প্রতিবাদ করলে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ব্যাপক হট্টগোলের মধ্যে দুর্বৃত্তরা তাদের বাসায় ঢুকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে।
আবার একই সময়ে ভবনটি লক্ষ্য করে কমিউনিটি সেন্টার থেকে পাথর ছুঁড়তে দেখার কথাও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র।
গুরুতর আহত জয়নাবকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৮
আরডিজি/টিসি