শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউতে নেপালের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ট্রেড ও ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় নেপাল।
বক্তব্য দেন নেপালের উপ-রাষ্ট্রদূত ধন বাহাদুর ওলি, ট্রেড সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক।
ধন বাহাদুর ওলি বলেন, নেপাল আদা উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়। বাংলাদেশে প্রচুর আদার চাহিদা রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের বলেছি তারা শুধু বাংলাদেশ নয় চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে দুবাই ও ইউরোপে তাদের মসলা, সবজি, হারবাল সামগ্রীসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্য পরিবহন করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে তারা সামুদ্রিক মাছ, ওষুধ আমদানি করতে পারে।
কাঠমাণ্ডু-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য হিমালয়ান এয়ারলাইনসকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে ভৌগোলিক গেটওয়ে। এটি সেন্টার পয়েন্ট। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ সম্পর্ক দিন দিন বাড়বে।
সঞ্চালনায় ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী শহর। এখানে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর রয়েছে। নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় মি. সুনীল তথ্যচিত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্টের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিচালনায় সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট রুট, সড়ক ও রেলপথসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন, বাংলাদেশে মেডিকেলসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে বিপুলসংখ্যক নেপালি ছাত্রের অধ্যয়ন, বেসরকারি উদ্যোগে নেপালে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানির মাধ্যমে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকার বিষয় তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
এআর/টিসি