ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাকায় নিহত তিন জঙ্গির একজন চট্টগ্রামের নাসিফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
ঢাকায় নিহত তিন জঙ্গির একজন চট্টগ্রামের নাসিফ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চার মাস আগে চট্টগ্রামে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্র নাসিফ উল ইসলামের (১৬) সন্ধান পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ)।  রাজধানীর নাখালপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে নিহত তিনজনের একজন এই নাসিফ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহত দুইজনের ছবি প্রকাশ করে র‌্যাব সদর দফতর।   বাবা-মাকে দেখানোর পর তারা ওই ছবি নাসিফের বলে নিশ্চিত করেছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে দায়িত্বরত নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) এএএম হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, র‌্যাবের প্রকাশ করা ছবি দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে নাসিফের বিষয়ে নিশ্চিত হয়।   এরপর আমাদের ইউনিটের পরির্দশক আফতাব হোসাইন নাসিফের ‍বাসায় গিয়ে তার বাবা-মাকে ছবি দেখান।

  তারাও তাদের ছেলেকে শনাক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে পশ্চিম নাখালপাড়ায় গত ১২ জানুয়ারি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব।   অভিযানে নিহত তিনজনের মধ্যে মেজবাহ নামে একজনের পরিচয় আগেই পাওয়া গেছে।

অপর দুজনের পরিচয় জানতে অভিযানের ছয় দিনের মাথায় তাদের ছবি প্রকাশ করে র‌্যাব।   সেই ছবি নজরে আসে চট্টগ্রামের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের।

ছবি: বাংলানিউজ

নাসিফ নগরীর কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।  গত বছরের ৬ অক্টোবর স্কুলে গিয়ে নিখোঁজ হয়।  এই ঘটনায় তার বাবা নজরুল ইসলাম চকবাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।  ৭ অক্টোবর করা এই জিডির নম্বর ৩২১।

কিশোর নাসিফকে খুঁজতে গিয়ে গত ১ জানুয়ারি নগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় নব্য জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।   সেখান থেকে বিস্ফোরকসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।  

গ্রেফতারের পর দুই আত্মঘাতী জঙ্গির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, তাদের সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনা ছিল।   ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একজন নারী হওয়ায় তারা সেখানে হামলার পরিকল্পনা নেয়।  

আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বাদি হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।   মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান একই ইউনিটের পরিদর্শক আফতাব হোসাইন।

পরিদর্শক আফতাব বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার হওয়া নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নাসিফের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছিলাম।   এর মধ্যেই নাসিফের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেল।

এডিসি হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নাসিফের বাবা র‌্যাবের কাছে গিয়ে শনাক্ত করার পর সন্তানের মরদেহ আইনগতভাবে তাদের দেওয়া হবে।   আর নাসিফের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের মধ্য দিয়ে নিখোঁজ ডায়েরিটি নিষ্পত্তি করবে চকবাজার থানা পুলিশ।

নিখোঁজ কিশোরকে খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল জঙ্গি আস্তানা

বাংলাদেশ সময়:  ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।