ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পর্যাপ্ত আধুনিক সরঞ্জাম

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পর্যাপ্ত আধুনিক সরঞ্জাম আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পর্যাপ্ত আধুনিক সরঞ্জাম

চট্টগ্রাম: মিরসরাই উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আধুনিক সরঞ্জাম প্রয়োজন।

বুধবার (১৭জানুয়ারি) উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের দমদমা বাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ ব্যবসায়ীর হাতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, অধিকাংশ বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন লাগার পর তা কিভাবে নেভানো হবে, সে সম্পর্কে ভাবা প্রয়োজন।

অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, লাখ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার ব্যবহারে বহু মানুষের কাছে অজানা।

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে সিলিন্ডারভিত্তিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবহার জরুরি।

মিরসরাইয়ে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরাবরই ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনি বলেন, অধিকাংশ বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন লাগার পর তা কিভাবে নেভানো হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে আগুন লাগার আগেই চিন্তাভাবনা করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা পাওয়া সহজ নয়। কারণ রাস্তায় জ্যাম লেগেই থাকে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন স্থানের সংকীর্ণ রাস্তাঘাট। ফলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানো সম্ভব হয় না। তাই আগুন লাগলে তা কিভাবে নেভানো হবে তার একটি পরিকল্পনা আগেই করে রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের দমদমা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজু কর্মকারের মাতৃ মেডিকেল হল, সুজন বড়ুয়ার শুটকির দোকান, শালীন বড়ুয়ার ঐশি ইলেকট্রিক অ্যান্ড মাইক সার্ভিস, মৃনাল বড়ুয়ার ষ্টেশনারী, শ্রীমান কর্মকারের মাইকের দোকান, ঝুলু বড়ুয়ার ইলেকট্রিক দোকান, সুজন দে’র ট্রেইলার্স দোকান ও একই মার্কেটের একটি খালি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের সুফিয়া বাজারে অগ্নিকান্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যায় লা রবিন ফার্নিচার, ইলিয়াছ স্টোর, মোজাম্মেল স্টোর ও সালেহ আহাম্মদ স্টোর। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে হাইতকান্দি ইউনিয়নের করুয়া গ্রামের আমির হোসেনের নতুন বাড়িতে আমির হোসেনের ছেলে তসলিম উদ্দিনের বৌভাতের দিন অগ্নিকান্ডে বিয়ের আয়োজনে ব্যবহৃত ডেকোরেশনের সকল মালামাল সহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।