বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হেফাজতে থাকা ওই নারীকে মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ পারভেজের আদালতে হাজির করে এই বিষয়ে নির্দেশনা চায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ওই নারীকে কাপড়ে জড়ানো একটি শিশুটি নিয়ে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়।
এসময় ওই নারীকে বারবার জিজ্ঞেস করেও কোন জবাব পায়নি পুলিশ। বারবার ওই নারী বলছিলেন, ‘আঁরে রাঙ্গুনিয়া পাঠাই দ’। (আমাকে রাঙ্গুনিয়া পাঠিয়ে দাও)
পরিদর্শক ওয়ালি বাংলানিউজকে বলেন, রাঙ্গুনিয়া বললেও সঠিক কোন ঠিকানা বলেনি ওই নারী। প্রথমে ভেবেছিলাম শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি। ধারণা করছি নিজ সন্তানের মৃত্যু দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন ওই নারী। তবে মানসিক প্রতিবন্ধী বলেও মনে হচ্ছে। তবে শিশুটি কিভাবে মারা গেছে, সেটি নিশ্চিত হতে পারছি না।
পুলিশ বুধবার রাতে নারীকে থানা হেফাজতে নিয়ে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
বৃহস্পতিবার নারী ও মৃত শিশুর ডিএনএ সংরক্ষণের আবেদন করেন আদালতে। এছাড়া ওই নারীর বিষয়েও আদালতের নির্দেশ প্রার্থনা করেন পাঁচলাইশ থানার এস আই জাকির হোসেন।
পরিদর্শক ওয়ালি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আদালত ওই নারীকে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদে মহিলা ও শিশু-কিশোরি হেফাজত কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া নারী ও শিশুর ডিএনএ সংরক্ষণ ও পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চমেকের ফরেনসিক বিভাগকে আদেশ দেন। আদালত ৬ মার্চ প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
আরডিজি/টিসি