ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বামীকে এনে প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর সহকারী শিক্ষিকার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
স্বামীকে এনে প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর সহকারী শিক্ষিকার 

চট্টগ্রাম: হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউসুফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা আবরা আরাকে মারধরের মামলায় একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার স্বামী মো. হোসেনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।

হাটহাজারী উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তাকে আটক করা হয়।

হোসেন ফরহাদাবাদ ইউসুফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রোকসানা ছাফার স্বামী এবং হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদের বংশাল আজিজুর রহমানের বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি ছুটি নিয়ে ফরহাদাবাদ ইউসুফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা আবরা আরার সঙ্গে একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রোকসানা ছাফার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহকারী শিক্ষিকা মোবাইল ফোনে ডেকে স্বামী মো. হোসেনকে স্কুলে নিয়ে আসেন।

এ সময় স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর করেন।

পরদিন মারধরের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সহকারী শিক্ষিকা রোকসানা ছাফা ও তার স্বামী মো. হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা আবরা আরা।

জানা যায়, সহকারী শিক্ষিকা রোকসানা গত বছরের ১০-১৯ ডিসেম্বর ছুটি ছাড়াই ১০ দিন স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে স্কুলে এসে জোর করে হাজিরা খাতায় সই করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষিকা সইয়ের কারণ জানতে চাইলে দুইজনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় স্বামীকে স্কুলে ডেকে এনে প্রধান শিক্ষককে মারধর করান। প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ন্যক্কারজনক জানিয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার উননেছা শিউলি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে থানা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষকরা আমার কাছে এসেছিলেন। আমি অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছি। অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া উচিত। এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা যাতে আর কেউ করতে সাহস না পায়। ’

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে জানান, প্রধান শিক্ষিকাকে মারধরের মামলায় একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকার স্বামীকে আটক করে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষিকাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দিয়ে তাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।