ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইডিইউর প্রশংসা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
ইডিইউর প্রশংসা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইডিইউর উপাচার্যের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম: বছরজুড়ে সাফল্য। ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি জাতীয় প্রতিযোগিতায়ও সমান কৃতিত্ব। এত গুণ যাদের, মাদকের মতো অন্ধকার জগতে পা বাড়ানোর সময় কোথায় তাদের! পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ জীবনযাপনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্যদের কাছে হতে পারেন আদর্শ।

ঠিক এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্টো উপ-অঞ্চলের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর খুলশীর পূর্ব নাসিরাবাদের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত ‘জীবনকে ভালোবাসুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তরুণদের মাদক গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে ও তাদের ভেতর সচেতনতা বাড়াতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ইডিইউর উপাচার্য, শিক্ষক ছাড়াও শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শামীম আহমেদ বলেন, খেয়াল রাখবে তোমার অতি উৎসাহ কিংবা কৌতূহলই যেকোনো সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে। পরিবারের একজন সদস্য এই পথে পা বাড়ানো মানে পুরো পরিবারই ধ্বংস হয়ে যাওয়া।

তিনি আরও বলেন, তোমার সচেতনতাই পারে তোমাকে এ অন্ধকার জগত থেকে দূরে রাখতে। তাই নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই।  

ইডিইউর শিক্ষার্থীদের সাফল্য ধরে রাখার পরামর্শ দিয়ে শামীম আহমেদ বলেন, এখানে আসার আগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাফল্যের খবর শুনে খুবই চমকিত হয়েছি। আশা করব এ তারুণ্য তাদের মাদক গ্রহণ থেকে বিরত রাখবে।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাজ কেবল মাদক আটক করা কিংবা আসামি শনাক্ত করা নয়। এ দুটো কাজের পাশাপাশি আমরা বিপথে যাওয়া তরুণদেরও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকি।

তিনি বলেন, একজন বন্ধু যদি ভুল করে মাদক গ্রহণ করে তাহলে আপনার আমার দায়িত্ব তাকে সে জগত থেকে ফিরিয়ে আনা। জীবনটা অনেক সুন্দর। তা তিলে-তিলে নিঃশেষ করে দেওয়া মানে হচ্ছে ব্যর্থতার কাছে হেরে যাওয়া।   

মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ইডিইউর শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জিল্লুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথে না যায় সেদিকে খেয়াল রেখে পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের নানা উৎসাহমূলক কাজে জড়িত করি আমরা।  

অনুষ্ঠানে ইডিইউর উপাচার্যের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

অন্যান্যের বক্তব্য দেন ইডিইউর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ রকীকুল কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।