চসিকের পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান একেএম রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, আমরা ২৭টি সড়কে রোড পার্কিংয়ের জন্য স্পেস নির্ধারণ করেছি। চলতি সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুমতি নিয়ে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেই রোড পার্কিংয়ের জন্য জায়গাগুলো নির্ধারিত হয়েছে। যেসব স্থানে সড়কে জায়গা কম আছে সেখানে সোজাসুজি গাড়ি রাখার জন্য মার্কিং করছি। যেখানে পর্যাপ্ত জায়গা আছে সেখানে আড়াআড়ি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে বেশি গাড়ি রাখা যাবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নগরী গড়ে উঠছে অপরিকল্পিতভাবে। এখানে বহুতল ভবনের নিচতলা পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ হলেও বেশিরভাগ ভবনেই তা মানা হচ্ছে না। আবাসিক ভবনে স্কুল খোলা হচ্ছে। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। শত শত মার্কেট হাজার হাজার গাড়ি। অনেক অ্যাপার্টমেন্ট আছে যেখানে সাইনবোর্ড লেখা রয়েছে ‘অতিথিদের গাড়ি বাইরে রাখুন’। উন্নত বিশ্বের কোথাও এমনটি কল্পনাও করা যায় না। এক্ষেত্রে ‘রোড পার্কিং’ সিস্টেম যানজট নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রোড পার্কিং’ চালু হচ্ছে। যাতে গাড়ির মালিক ও চালকরা অভ্যস্ত হয়ে যান। এরপর পর্যায়ক্রমে ঘণ্টা প্রতি ন্যূনতম ভাড়া ধার্য করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৮
এআর/টিসি