শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের উদ্যোগে আয়োজিত হিরন্ময় ভট্টাচার্যের শোকসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের পরিচালক মো. জাহেদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, হিরন্ময় ভট্টাচার্যের কর্মদক্ষতায় হ্যাচারিতে গলদা চিংড়ি উৎপাদনে মৎস ব্যবসায়ীদের অনুপ্রাণিত করেছে।
‘হ্যাচারিতে গলদা চিংড়ির যেকোন রোগ নিরাময়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখতেন। দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে হ্যাচারী ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ ছিল।
২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের ধাক্কায় হিরন্ময় ভট্টাচার্য নিহত হন। বাংলাদেশ শ্রীম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজের অধ্যাপক ড. ননী গোপাল দাশ, ড. ম কবির আহম্মেদ, মুজিবুর রহমান, ওমরগণি এমইএস কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, চবি আই ই আর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিব প্রসাদ ভট্টাচার্য, মুক্তিযোদ্ধা কিরন্ময় ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
হিরন্ময় ভট্টাচার্যের সহধমির্নী শর্বরী ভট্টাচার্য বলেন, দেশের মৎস শিল্পের বিকাশে আমৃত্যু চেষ্টা করেছেন। ঘাতক বাস আমার স্বামীর প্রাণ কেড়ে নিল। তাঁর মৃত্যুতে আমরা পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ভট্টাচার্য এবার ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। ছোট ছেলে সেন্ট প্লাসিডস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।
হিরন্ময় ভট্টাচার্যের স্বজন শর্মিলী তেওয়ারী বলেন, সকালে এয়ারপোর্ট রোডে যখন হিরন্ময় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন জলসিঁড়ি নামে একটি বাস এসে ধাক্কা দিলে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন হিরন্ময়। এর অদূরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাসটি আটক করে। কিন্তু মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে থাকা হিরন্ময়কে হাসপাতালে পাঠাতে কেউ এগিয়ে আসেনি। প্রায় আধঘন্টা পড়ে থাকার পর এক পথচারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যান হিরন্ময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
এসবি/টিসি