এলইডি ডিসপ্লেতে দেখানো হচ্ছে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র সাজেক, নীলগিরিসহ দেশের উন্নয়ন ও অবকাঠামো খাতে সেনাবাহিনীর উন্নয়নযজ্ঞ, বর্তমান সরকারের আমলে সংগৃহীত অত্যাধুনিক সব যুদ্ধ সরঞ্জাম।
চট্টগ্রাম: উন্নয়ন মেলায় ঢুকতেই চোখ আটকে যাবে কেমোফ্লেজ নেটে তৈরি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দৃষ্টিনন্দন স্টলটিতে। যেখানে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চতার সঙ্গে শরীরের ওজন সম্পর্কিত পরামর্শ পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এলইডি ডিসপ্লেতে দেখানো হচ্ছে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র সাজেক, নীলগিরিসহ দেশের উন্নয়ন ও অবকাঠামো খাতে সেনাবাহিনীর উন্নয়নযজ্ঞ, বর্তমান সরকারের আমলে সংগৃহীত অত্যাধুনিক সব যুদ্ধ সরঞ্জাম।
পৌনে ১০টায় বাদ্যের তালে তালে শোভাযাত্রাটি এমএ আজিজের সিজেকেএস জিমনেশিয়াম মাঠে মেলা মঞ্চে আসে।
টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সমস্যা শুনেছেন। সমাধানের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আগের সেই বাংলাদেশ নেই। অনেক অনেক উন্নতি হয়েছে। ২০২১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জন দৃশ্যমান হচ্ছে জনসাধারণের কাছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছে বাংলাদেশ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, দেশের কোন সেক্টরে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা স্টলগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে। এখানে একটি প্রতিষ্ঠানের দুটি স্টল নেই। ব্যাংক খাতে কী অর্জন, স্বাস্থ্য খাতে কী অর্জন, অবকাঠামো খাতে কী উন্নয়ন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কী অর্জন সবই এখানে উঠে এসেছে। তিনি বলেন, প্রতিটি স্টলে জনসাধারণের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য যোগ্য কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। এসব স্টলের মাধ্যমে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে কোনো খাতে গ্যাপ থাকলে তা উঠে আসবে। চিহ্নিত করা যাবে নানা সমস্যা। এটি একটি সমন্বিত উদ্যোগ এবং কার্যকর উদ্যোগ। মেলায় আসা মানুষ উপলব্ধি করবে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ এটি স্লোগান নয়, বাস্তবতা।
সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
পরে অতিথিরা কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
মেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, কৃষি মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বেতার, বন বিভাগ, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মৎস্য দপ্তর, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, বিআরটিএ, এলজিইডি, বিটিসিএল, বিআইডব্লিউটিএ, কারা অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, খাদ্য বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, সিভিল সার্জন কার্যালয়, বিসিক, চা বোর্ড, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জেলা আনসার ভিডিপি, সোনালী ব্যাংক, কৃষি, জনতা, অগ্রণী, ইসলামী ব্যাংকসহ ১১৯টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বর্তমান সরকারের আমলের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্জনের চিত্র এবং সেবাগুলো তুলে ধরছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, আপডেট ১৩৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭
এআর/টিসি