জুবাইয়েদ নগরীর শুলকবহরের জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। এর আগে নগরীতে নিখোঁজ হওয়া কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজের এক কিশোর ছাত্রের সন্ধানে নেমে নব্য জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
চট্টগ্রামে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বাংলানিউজকে বলেন, নাস্তা করতে যাবার কথা বলে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে জুবাইয়েদ আর ফেরত আসেনি। আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
‘স্কুল-মাদ্রাসার কিশোর বয়সী ছাত্ররা অনেক সময়ই বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় চলে যায়। আবার ফিরেও আসে। এটাও সেই ধরনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তবে ব্যতিক্রম কিছুও হতে পারে। আমরা সব ধরনের সম্ভাবনা চিন্তা করেই তার খোঁজ করছি। ’
জুবাইয়েদ নগরীর ডবলমুরিং থানার মনসুরাবাদ এলাকার জনৈক শাহআলমের ছেলে। ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার মুসলিমপাড়া এলাকায় তাদের বাড়ি।
সূত্রমতে, ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে জুবাইয়েদ মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যায়। দুইদিনেও ফিরে না আসায় জুবাইয়েদ নিখোঁজ হয়েছেন মর্মে তার বাবা পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ৩ জানুয়ারি নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে পাঠান।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র নাসিফ উল ইসলাম (১৬) নিখোঁজ হয়। কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নাসিফের সন্ধান করতে গিয়ে নগরীর সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় নব্য জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পায়।
সেখান থেকে মো.আশফাকুর রহমান ওরফে আবু মাহির আল বাঙালি ওরফে রাসেল ওরফে সেলেবি তিতুশ (২২) এবং মো.রাকিবুল হাসান ওরফে জনি ওরফে সালেহ উদ্দিন আয়ূবী ওরফে আবু তাইছির আল বাঙালি ওরফে হাসান (১৯) নামে দুজনকে আটক করা হয়। দুজনই নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। ওই আস্তানা থেকে বিস্ফোরক সামগ্রীও উদ্ধার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
নব্য জেএমবির আস্তানায় অভিযানের পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জানিয়েছিল, সদরঘাট থানায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে দুই জঙ্গি সেখানে জড়ো হয়েছিল।
নিখোঁজ কিশোরকে খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল জঙ্গি আস্তানা
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
আরডিজি/টিসি