চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ সময়ে ভ্যাট খাতে আদায় হয়েছে দুই হাজার ৫৫০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সংখ্যা লক্ষাধিক হলেও নিয়মিত ভ্যাট প্রদানকারীর সংখ্যা অর্ধেকের চেয়েও কম।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভ্যাট খাতে আয় হয়েছিল সাত হাজার ১৭৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এতে প্রায় ৩৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি অর্থবছরে ৯ হাজার ৭৬১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। প্রথম চারমাসে আদায়ের ক্ষেত্রে বিগত বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের অধীনে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সংখ্যা এক লাখ ৯ হাজার ৫৬০। এরমধ্যে উৎপাদনকারী ৬ হাজার ২৩৬, সেবা প্রদানকারী ২২ হাজার ৭৫০, আমদানিকারক ১৭ হাজার ৪৫৬, রফতানিকারক এক হাজার ২৫৫, আমদানি ও রফতানিকারক এক হাজার ২৯৩, ব্যবসায়ী ২৫ হাজার ৪৭৫, ঠিকাদার ২৩ হাজার ৮৭৯, সরবরাহকারী চার হাজার ১৯৭, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নয় হাজার ৭৩১টি।
নিবন্ধীত উৎপাদনকারী ও সেবা প্রদানকারীদের বেশিরভাগই ভ্যাট দিয়ে করে থাকেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভ্যাট দিয়েছে ছয় হাজার ৪৫ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও ২০ হাজার ৩৮৮ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধিত ব্যবসায়ী ঠিকাদার, সরবরাহকারী, আমদানি- রফতানিকারককের মধ্যে বেশিরভাগই রিটার্ন দাখিল করলেও অর্থবছরে ভ্যাটযোগ্য আয় না থাকলে ভ্যাট আদায় করে না।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভ্যাট আদায়ে গত বছরের এই সময়ে তুলনায় আমরা ৪২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি আদায় করেছি। কিন্তু এবারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। তবে আগামী মাসগুলোতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমইউ/টিসি