শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।
বিজয় দিবসের একদিন আগেই পরপারে পাড়ি জমান চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
শোকের আবহ ছিল শনিবারের বিজয় দিবসের আলোচনাজুড়েও।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আজ আমাদের প্রিয় নেতা নেই। এই সময়ে আমার করবো- ভেদাভেদ ভুলে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা যেনো প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দন চৌধুরীর বড় ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেন, আমি দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে এখানে হাজির হয়েছি। আমার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি রাজনৈতিক আদর্শ আমাদের শিখেয়ে গেছেন। সেটা হলো- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও নেত্রীর প্রতি অবিচল আস্থা। এই মন্ত্রে সারাজীবন নির্যাতন সহ্য করেছেন তিনি। শত লোভ লালসা সত্ত্বেও ত্যাগ ও বিসর্জনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
‘নিজের গণ্ডি ও ব্যক্তি চর্চার বাইরে গিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। বিজয় দিবসে এটাই হোক শপথ। ’
তিনি বলেন, বাবা দলকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। আমার অনুরোধ- আমরা যদি আবার দলকে ক্ষমতায় আনতে পারি তাহলে তার আত্মা শান্তি পাবে। তার বোন ও নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেই তার রাজনীতি সফল হবে।
‘জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আগামী নির্বাচনে তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকেই যেন বিজয়ী করতে পারি। ’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কমিটির অপর সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ ও আলতাফ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।
আয়োজক কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নঈম উদ্দিন চৌধুরী ও বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর, উপ-দফতর সম্পাদক জহর লাল হাজারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এমএ/