তিনি বলেন, দিন-দুপুরে একজন মানুষকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা হত্যা করলো, কিন্তু এতোদিনেও তাদের কেউ গ্রেফতার হলো না। এর দায়-দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসন কোনো ভাবেই এড়াতে পারে না।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর কদমতলী শুভপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দলের আনন্দ মিছিলে পেছন থেকে হারুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে খসরু বলেন, আপনারা যদি মনে করেন কিছুদিন গেলে মানুষ এ খুনের কথা ভুলে যাবে আর আপনারাও তাদের গ্রেফতার করবেন না, তাহলে ভুল করবেন। যুবদল কর্মী হারুনকে যারা হত্যা করেছে, আর তাদের যারা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদের বিচার একদিন হবে। প্রশাসনের যারা খুনিদের গ্রেফতার না করে রক্ষার চেষ্টা করবেন তাদের বিচারও একদিন জনগণ করবে।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, হারুন যুবদলের দক্ষ সংগঠক ছিলেন। অবিলম্বে তার খুনিদের গ্রেফতার করুন, না হলে এর দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, জয়নাল আবেদিন জিয়া, শফিকুর রহমান স্বপন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, শাহ আলম, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ-সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, পরিকল্পনা সম্পাদক ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা শামসুল হক, বিএনপি নেতা মো. আলী, মোস্তফিজুর রহমান বুলু, শামসুল আলম, আবদুল আলিম লোহানী, নুর উদ্দিন হোসেন নুরু, ডবল, মশিউল আলম স্বপন, জামাল উদ্দিন জসিম,আমেনা বাতেন, কামরুন নাহার লিজা, মোমিনুল হক, মুরিং থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া, নিহত হারুনের বোন ডা. রাহেলা বানু, নিহত হারুনের ভগ্নিপতি ডা. জাকির হোসেন, ভাই হুমায়ন, ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুর খান, আবদুল হালিম, মোস্তফিজুর রহামান মোস্তাক, নুর উদ্দিন সোহেল, জিয়াউর রহমান, আনোয়ার হোসেনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল নেতারা।
এর আগে, বিএনপির নেতা আমির খসরু ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা হারুনের পরিবারের সঙ্গে কদমতলীর বাসভবনে সাক্ষাত করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
পিআর/আরআইএস/