ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বধ্যভূমিতে প্রদীপ প্রজ্বালন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বধ্যভূমিতে প্রদীপ প্রজ্বালন ফয়’স লেকের বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে প্রদীপ প্রজ্বালন

চট্টগ্রাম: বধ্যভূমিতে প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া জাতির মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করেছে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল পাঁচ গণসংগঠন।

সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এসব সংগঠনের নেতারা। এ সময় সংগঠনগুলোর নেতারা চট্টগ্রামের পাহাড়তলি বধ্যভূমিসহ দেশের সব বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ফয়’স লেকের বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।

ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, উদীচী, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটি এবং বিশেষ গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এ কর্মসূচির মধ্যে আরও ছিল আলোচনা সভা, গণসংগীত ও আবৃত্তি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ গেরিলা বাহিনী চট্টগ্রামে কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা তপন দস্তিদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক বেনু কুমার দে, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রূপক চৌধুরী, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সহ-সভাপতি সুনীল ধর, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া, ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক গোলাম সরোয়ার। সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের আতিক রিয়াদ।

সম্মিলিত পরিবেশনা ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের মধ্য দিয়ে বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ জুড়ে জ্বলে ওঠে শত প্রদীপ। এ সময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছোট্ট শিশু থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সী নারীপুরুষ সবার হাতে ছিল জ্বলন্ত মোমবাতি। এর আগে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে চলে গণসঙ্গীত ও আবৃত্তি।

সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী এ দেশীয় ঘাতক-দালাল এখনো দেশের বিভিন্ন সেক্টরে ঘাপটি মেরে দেশকে আবারও পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সেই স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলতে হবে।

স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও চট্টগ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রামে এখনো কোনো স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

বক্তারা বলেন, পাহাড়তলী বধ্যভূমি এখনো দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই বধ্যভূমির সংস্কার ও সংরক্ষণ নিয়ে আন্তরিকতা নেই। সরকারও এ ঐতিহাসিক বধ্যভূমি দখলমুক্ত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি।

বক্তারা চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের যেসব স্মৃতিচিহ্ন আছে সেগুলো সুরক্ষার দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।