বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে সিআইইউর মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ৪৭ তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় সংগীত ও শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য এক শোকাবহ দিন। পাকিস্তানি বাহিনী আমাদেরকে মেধাশুন্য করতে ঘৃণ্য কৌশল হিসেবে জাতির সর্বোচ্চ মেধাবী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে।
স্বাধীনতার ইতিহাস রচনায় বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি বলেন, ৬ দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জনের প্রতিটা পদক্ষেপেই বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। তাঁদের নৈতিকতা ও মুল্যবোধ ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়।
অনুষ্ঠানে সিআইইউর প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল হক খান বলেন, বিবেক নষ্ট হলে যে কোন জাতি ধ্বংস হয়ে যায়। শত বছরের বৃটিশ উপনিবেশিকতার শৃংখল ভাংগতে জাতিকে বারবার ঐক্যবব্ধ হতে হয়েছে।
সিআইইউর ব্যবসায় অনুষদের ডিন ড. নুরুল আবসার নাহিদ বলেন, স্বাধীনতা জাতির একটি বড় অর্জন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বেই এদেশে স্বাধীনতা এসেছিল। বাঙালী জাতি মেধা, চিন্তায়, মননে যেন পরাধীন থাকে সে উদ্দেশ্যে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছে পাকিস্থানি সামরিক বাহিনী।
সিআইইউর ব্যবসায় অনুষদের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতিগত উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ব্যবসায় অনুষদের শিক্ষক মোসলেহউদ্দীন চৌধুরী খালেদ, ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সরকার কামরুল মামুন, ম্যানেজার শিহাব উদ্দীন বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার নাহিদ খান। সহকারী রেজিষ্ট্রার আনজুমান বানু লিমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সিআইইউর বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এমইউ/টিসি