বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বাঙালি জাতিসত্তার বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালিয়েছি।
তিনি উল্লেখ করেন, সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা জাতিকে উপহার দেওয়া হবে। এই নিয়ে কোন সংশয় থাকার অবকাশ নেই।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার প্রতিষ্ঠাতা এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাকে প্রজন্ম পরম্পরায় ধারণ করার একটি মঞ্চ তৈরী করে দেওয়ায় তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মূখ্য আলোচক চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ বলেন, নতুন প্রজন্মকে ধর্মান্দতার আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে হবে। তাদের সহজ-সবুজ তারুণ্যকে বিপথগামী করার জন্য একটি অপশক্তি কাজ করে যাচ্ছে। এই অপশক্তি মানবতা ও সভ্যতা বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে আমাদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। একটি জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার আলোক শিখা জ্বালিয়েছেন তাই আমরা আশাবাদী।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রাশেদ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব (অর্থ) পান্টু লাল সাহা, আকবর শাহ থানা কমান্ডার মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ খোকা।
পরে মঞ্চে আলোচনা সভা শেষে তপন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় উদ্দীপনামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
উক্ত স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির জনগণকে উপস্থিত থাকার জন্য বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি