ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোরিয়া-বাংলাদেশ কনসার্ট উদ্বোধন করলেন সুফি মিজান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
কোরিয়া-বাংলাদেশ কনসার্ট উদ্বোধন করলেন সুফি মিজান ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ কালচার এক্সচেঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

চট্টগ্রাম: মানুষ নির্লোভ, নিরীহ, বিনীত ও প্রেমিক হলে ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বজয় করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শাহ আলম বীরউত্তম মিলনায়তনে ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ কালচার এক্সচেঞ্জ ২০১৭’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী কনসার্ট উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হজরত আলী (রা.), কাজী নজরুল ইসলাম, আল্লামা রুমি, মার্টিন লুথার কিংসহ বিভিন্ন মনীষীর বাণী উদ্ধৃত করে সুফি মিজান বলেন, মানবিকতা, হৃদয়ের বিশুদ্ধতা, আত্মবিচার, ন্যায় বিচারের মাধ্যমে মানুষ অজ্ঞতা দূর করে সমাজকে আলোকিত করতে পারে।

বিশ্বের যে দেশে জন্মগ্রহণ করি না কেন আমরা মানব সন্তান। আমাদের হাসি-খুশি, আনন্দ-কান্না, ভালো-মন্দ, আবেগ-অনুভূতি সবই ইউনিভার্সেল।
মৌলিক মানবিক ভিত্তি সবার এক। মানুষ সংগীতের মাধ্যমে জীবনের লুকানো সত্য তুলে ধরে। প্রত্যেক মানুষকে সুর, লয়, তাল আকর্ষণ করে।

কোরিয়ান শিল্পীদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রঙে তফাৎ আছে, ভাষায় তফাৎ আছে, আবেগে তফাৎ আছে। কিন্তু সংগীতের সুর সবাইকে সমান আলোড়িত করে। এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করা। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, অর্থনীতিতে দুদেশ একসঙ্গে আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুন্দরের চর্চা করা। আশা করি, এ সম্পর্ক দিন দিন আরও নিবিড় হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যান সিওং দো বলেন, কোরিয়ান সংস্কৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, খুবই দুর্লভ। আজকের কনসার্টে কোরিয়ান ক্লাসিক্যাল ঘরানার সাতজন শিল্পী তাদের সংগীতায়োজন উপহার দেবেন। এ আয়োজনের মূল বার্তা ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমি এখানে এসেছি পিচ, হ্যাপিনেস ও প্রসপারিটির জন্য। ১৯৭৩ থেকে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।

কোরিয়ান শিল্পীদের পরিবেশন‍া

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিখ্যাত বন্দরনগরীর জন্য। কোরিয়ান ইপিজেড এ চট্টগ্রামেই আছে। এটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগে ইপিডেজ। যেখানে ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন। এটি এদেশের সবচেয়ে বড় ইকোনমিক জোন। কোরিয়ান ব্যবসায়ীরা খুবই আগ্রহী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য। বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সম্মানজনক অর্থনৈতিক রোল প্লে করছে। আমি বিশ্বাস করি কোরিয়ার মতো বাংলাদেশও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি অর্জন করবে।

শুরুতে ‘বন্ধুরে তোর লাগি’ গানটি পরিবেশন করেন দেশের একমাত্র সুফি ব্যান্ড আসওয়াদের মান্না। এ সময় লাইনআপে ছিলেন গিটারে মোহাম্মদ মহসিন, স্যাক্সোফোনে আনোয়ার, বেজ গিটারে তানিম, গিটারে তাহিম, ড্রামসে ওয়াসিম, কি-বোর্ডে সফল ও সাউন্ড ম্যানেজমেন্টে আহাদ। তারা একে একে পরিবেশন করেন ‘আলো’, ‘প্রীতি’, ‘বন্ধু’, ‘স্বপন দেখি’ ও ‘সুলতান ই হিন্দ ইয়া গরিবে নেওয়াজ’।  

দক্ষিণ কোরিয়ার সাত সেরা আর্টিস্ট ভায়োলিন, স্যালো, পিয়ানোর ঝংকারে মুগ্ধ করেন শ্রোতাদের। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে আসেন কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড), চিটাগাং ইপিজেডে কর্মরত কোরিয়ান নাগরিক, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোরিয়ান শিক্ষার্থী ও নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

কোরিয়া-বাংলাদেশ কনসার্ট বুধবার

তানিমকে নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি সুফি ব্যান্ড ‘আসওয়াদ’র

সুফি ব্যান্ড আসওয়াদের ‘বিধি’ উন্মোচন করলেন সুফি মিজান

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।