স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে এ বিষয়ে বিচার চেয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আবু আহমদ কালিপুর এজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফয়জুন্নেছা প্রকাশ বেবি বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ বলা হয়, ‘সহপাঠীরা মিলে খেলার সময় দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই মো. সুমন বাংলানিউজকে জানান, শুধু আমার ভাই নয়, এরূপ আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। ওই শিক্ষিকার স্কেল দিয়ে আঘাত করে আমার ভাইকে রক্তাক্ত করেছে। সরকারি নির্দেশনায় যেখানে স্কুলে বেত রাখারও বিধান নেই, সেখানে বেত ও স্কেল দিয়ে মেরে মারাত্মকভাবে জখম করেছে এক শিক্ষিকা। আমরা এর বিচার চাই। পরবর্তীতে যাতে আর অন্য কোন শিক্ষার্থীকে এরূপ মারধর করতে না পারে। ’
এদিকে, সরকারি নির্দেশনায় স্কুলে শারীরিক শাস্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ নিয়ে উচ্চ আদালতেরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফয়জুন্নেছা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছেলেটি স্কুলে অনিয়মিত। ছেলেদের মারধর করে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছেলেটি শিক্ষকদের নাম ধরে ডাকাসহ আরও নানা অভিযোগ রয়েছে। আমরা কি ছেলেদের শাসনও করতে পারবো না?’
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সরোয়ার আলম সুজন বাংলানিউজকে জানান, ‘বিষয়টি আমরা অবহিত হয়েছি। ইতিমধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করার জন্য বলেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
এসবি/টিসি