ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতে বিস্ফোরণ মামলার আসামি চট্টগ্রামে রিমান্ডে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
ভারতে বিস্ফোরণ মামলার আসামি চট্টগ্রামে রিমান্ডে নব্য জেএমবির সুরা সদস্য সোহেল মাহফুজ। ছবি গুগল থেকে নেওয়া।

চট্টগ্রাম: জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির সুরা সদস্য সোহেল মাহফুজকে মিরসরাইয়ের একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। জঙ্গি মাহফুজ ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরকের জোগানদাতা।  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণ মামলারও আসামি।  

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান জঙ্গি মাহফুজকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন বিভাগে মিরসরাই থানার দায়িত্বে থাকা এএসআই সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৮ মার্চ মিরসরাই পৌরসভায় নব্য জেএমবির একটি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেন।   মিরসরাই থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সোহেল মাহফজুকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো এবং ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম।

  আদালত তিনদিন মঞ্জুর করেছেন।

তিন সহযোগীসহ সোহেল মাহফুজকে গত ৭ জুলাই রাত পৌনে তিনটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা।

গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের তৎকালীন প্রধান ডিআইজি মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, নব্য জেএমবির যে বৈঠকে হোলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা হয়, সেখানে এই মাহফুজও ছিলেন।  

২০১৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে একটি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ এবং দুজনের প্রাণহানির পর ভারতীয় পুলিশ সোহেল মাহফুজকে খুঁজতে শুরু করে।  

মাহফুজ ভারতে নসরুল্লাহ নামে পরিচিত।  তাকে ধরিয়ে দিতে ভারতীয় পুলিশ তখন ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে।  গ্রেফতার এড়াতে সোহেল মাহফুজ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় চলে আসেন এবং নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত হন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।