মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমানের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। স্মারকলিপিতে
এর আগে একই দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির বিভাগীয় সম্পাদক কমরেড মৃণাল চৌধুরী, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য কমরেড আল কাদেরী জয়,বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব কমরেড অপু দাশগুপ্ত, গণসংহতি চট্টগ্রাম জেলার সংগঠক শওকত আলী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনমত উপেক্ষা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) একতরফাভাবে ১ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ওপর এবং ক্যাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এমনকি বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রস্তাবে গণশুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বা অন্য কোন সংস্থা কোনো আপত্তি করেনি। এমনকি বিইআরসি'র কারিগরি কমিটি কোনো মন্তব্যও করেনি। বরং এই প্রস্তাব সর্বমহলে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি তাই শুধু অযৌক্তিক ও অন্যায়ই নয়, এর ফলে জনগণের অধিকার খর্ব এবং গণশুণানিকে অকার্যকর ও প্রহশনে পরিণত করা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, শুধু বিদ্যুত নয় চাল, পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দামবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। মজুদদার আর দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের দখলে এখন বাজার। এর উপর নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেই। টিসিবি'র কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো না। দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ তিনবেলা প্রয়োজনীয় খাবার থেকে বঞ্চিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াতসহ সর্বত্র জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চায়।
বক্তারা অবিলম্বে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
এসবি/টিসি