ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গ্রামীণফোনের আলোচনায় ডিজিটাল চট্টগ্রামের রূপরেখা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
গ্রামীণফোনের আলোচনায় ডিজিটাল চট্টগ্রামের রূপরেখা গ্রামীণফোনের প্যানেল আলোচনায় ডিজিটাল চট্টগ্রামের রূপরেখা

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের (চট্টগ্রাম বন্দর) সক্ষমতা বাড়াতে ডিজিটালাইজেশনের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের আগে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ছাড় নিতে ৪৩ ধাপ পেরিয়ে খালাসের অনুমতি মিলতো। অটোমেশন চালুর পর তা সাত ধাপে নেমে এসেছে।

এতে কাজ অনেক সহজ হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে গ্রিন চ্যানেল চালুর দাবি জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বন্দরে স্ক্যানার বাড়াতে বলেছি।

স্ক্যানার না থাকার কারণে বন্দর সক্ষমতা হারাচ্ছে। সব ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের কোন বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার বিকেলে রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ডেভেলপম্যান্ট রোড টু অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি। দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণ ফোন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দৈনিক আজাদীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহেদ মালেকের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় মাহবুবুল আলম বলেন, এখনো অনেক সিদ্ধান্তের জন্য ঢাকায় দৌড়াতে হয়। এতে ১৫ দিন পার হয়ে যায়। অথচ ডিজিটাল হলে সময়ক্ষেপণ হতো না। তাই বন্দরকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন করতে হবে।

বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি তাগিদ দিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, বন্দরকে এগুতে হবে দেড়’শ মাইল স্পিডে। ব্যবসা এগুবে ১০০ মাইল স্পিডে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থা হলো ব্যবসা এগুচ্ছে ১৬০ মাইল গতিতে আর বন্দর এগুচ্ছে ৮০ মাইল গতিতে। এটা হয় না।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান এবং টেলিনর হেলথ এর সিইও সাজিদ রহমান টেলিযোগাযোগ খাতে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য তথ্য ও সেবা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএসআরএম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলী হোসেন, কেডিএস স্টিলের পরিচালক মূনির এইচ খান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও পযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকম ইঞ্জিনয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মূহাম্মাদ আহসান উল্লাহ।

গ্রামীণফোনের প্যানেল আলোচনায় ডিজিটাল চট্টগ্রামের রূপরেখা

মুনির এইচ খান বলেন, প্রযুক্তি আমাদের হাতে বিস্তর সমাধান তুলে দিয়েছে, সঠিকভাবে এর ব্যবহার হলে ব্যবসার চেহারা বদলে যাবে।

অধ্যাপক ড. মূহাম্মাদ আহসান উল্লাহ বলেন, সফল ডিজিটালাইজেশনের জন্য তথ্যের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে সেবা প্রদানকারীদের এজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যদিকে ব্যবহারকারীদেরও তাদের ব্যবহৃত সেবা সম্পর্কে অধিকতর সচেতন হতে হবে।

সাজিদ রহমান বলেন, ডিজিটাল সেবার সুবিধা পেতে গ্রাহকদের আচরণ গত পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ তারা তাদের সমস্যার জন্য ভার্চুয়াল সমাধান মেনে নিচ্ছেন।

ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন ডিজিটাল পরিবর্তনকে ঘরে বাইরে বাস্তবায়ন করছে, একদিকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সেবা ও প্রক্রিয়া ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাহকের সাথে যোগযোগ, বিক্রয় ও বিতরণ ব্যবস্থার পরিবর্তন করা হচ্ছে যাতে এসব কিছু ডিজিটালভাবে করা যায়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেণ গ্রামীণফোনের হেড অফ কমিউনিকেশনস নেহাল আহমেদ। সমাপনী বক্তব্য রাখেন চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।