ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একমাস পর চট্টলায় ‘চট্টলবীর’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
একমাস পর চট্টলায় ‘চট্টলবীর’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: একমাস পর চট্টগ্রামে ফিরলেন নেতাকর্মীদের কাছে চট্টলবীর খ্যাত বর্ষীয়ান রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।  গুরুতর অসুস্থ হয়ে মহিউদ্দিন প্রথমে ঢাকায় এবং পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরে ও পরে আবারো ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  তবে এখন মহিউদ্দিন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে মহিউদ্দিনকে নিয়ে নগরীর চশমা হিলের বাসায় পৌঁছান স্বজনরা।   এর আগে ভোর ৫টায় মহিউদ্দিনকে নিয়ে সড়কপথে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতাল থেকে রওনা করেন তারা।

মহিউদ্দিনের সঙ্গে ঢাকা থেকে এসেছেন বড় ছেলে ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ছোট ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সম্রাট, স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন, জামাতা ডা.সেলিম আকতার ও দুই মেয়ে।

মহিউদ্দিনের ফিরে আসার খবরে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে তার বাসভবন।

  আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও বাসার সামনে ভিড় জমান।   গাড়ি থেকে নামিয়ে মহিউদ্দিনকে হুইল চেয়ারে নেওয়ার পর অনেকে তার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন।   মহিউদ্দিন হাসিমুখে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।

মহিউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণি বাংলানিউজকে বলেন, স্যার (মহিউদ্দিন) বাসায় পৌঁছার সময় নেতাকর্মীদের ভিড় ছিল।   তিনি হাসিমুখে কথা বলেছেন।   এখন স্যার বিশ্রামে আছেন।

নিজ বাসায় মৃদু হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মহিউদ্দিনকে ১১ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে মহিউদ্দিনকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৬ নভেম্বর অসুস্থ মহিউদ্দিনকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।   সিঙ্গাপুরের অ্যাপোলো গ্লিনিগ্যালস হসপিটালে মহিউদ্দিনের এনজিওগ্রাম এবং হার্টের দুটি ব্লকে রিং বসানো হয়।  

সিঙ্গাপুরে ১১ দিনের চিকিৎসা শেষে ২৬ নভেম্বর রাতে মহিউদ্দিনকে নিয়ে দেশে আসেন স্বজনরা।   এরপর তাকে আবারো স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে ১৭ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।   ২০১০ সালে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরাজিত হন।  

এরপরও চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে এখনো সমান জনপ্রিয় মহিউদ্দিন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির বড় অংশের নিয়ন্ত্রক মহিউদ্দিনকেই ভাবা হয়।   চট্টগ্রামের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে আন্দোলনে এখনো মহিউদ্দিনই নিয়ামক, এমনটাই মনে করেন বন্দরনগরীর মানুষ।   দলমত নির্বিশেষে সকলের শ্রদ্ধার মানুষ মহিউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।