ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জঙ্গি রাজীব গান্ধীর মুখোমুখি হচ্ছে দুই জেএমবি নেতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
জঙ্গি রাজীব গান্ধীর মুখোমুখি হচ্ছে দুই জেএমবি নেতা

চট্টগ্রাম: গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীসহ তিন জঙ্গীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  বাকি দুজন হলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র শীর্ষ নেতা হাসান এবং বুলবুল আহমেদ।

নগরীর আকবর শাহ থানায় ২০১৫ সালে দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ইতোমধ্যে তিনজনকেই হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পিবিআই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, তিন জঙ্গিকেই রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালত অনুমতি দিয়েছেন।

  আদালতের অর্ডার শিট পাওয়ার পর তিনজনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করব।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জেএমবি নেতা হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো.সফি উদ্দিন।

  জঙ্গি হাসানের বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়।  চলতি বছরের ৭ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের ওপর বোমা হামলার পর তাকে আটক করা হয়েছিল।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর একই মামলায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।   গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ রাজীব গান্ধীকে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

একই মামলায় ৬ ডিসেম্বর বুলবুল আহমেদকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।   ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজনগর লালমিয়া কন্ট্রাকটর সড়কের হাজী নুর আহমদ টাওয়ারের নিচতলায় জেএমবির গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বুলবুলসহ পাঁচ জঙ্গিকে আটক করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

২০১৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের মীর আউলিয়া মাজার রোড এলাকার একটি ভাড়া ঘর থেকে বিস্ফোরকসহ জঙ্গি এরশাদ হোসেনকে (২০) ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় লোকজন।  গ্রেফতারের পর এরশাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জঙ্গি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ও হাসানের নাম এসেছিল।

২০১৫ সালের মে মাসে এরশাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ। পরে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো.ফখরুদ্দিন চৌধুরীর আবেদনের ভিত্তিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।